নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লার ১১ টি সংসদীয় আসনেই এখন সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী বিএনপি। ৫ আগস্টের পর বিএনপির নেতাকর্মীরা বাড়িঘরে পুরোদমে ফিরেছেন। তৃণমূলে দলকে শক্তিশালী করার জন্য কমিটি গঠন করেছে। সামাজিক নানা সংগঠনে যুক্ত হয়েছে। ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে কুমিল্লা দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক জাকারিয়া তাহের সুমনের নেতৃত্বে সাংগঠনিক সফর দলকে চাঙা করেছে। আগে চৌদ্দগ্রামে সাংগঠনিকভাবে বিএনপি পিছিয়ে থাকলেও এখন কামরুল হুদার নেতৃত্বে ওই উপজেলায় বিএনপি সাংগঠনিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এরপরেও কুমিল্লার চারটি আসনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে জামায়াতে ইসলামী, এলডিপি ও এনসিপি। আসন চারটি হল কুমিল্লা -৩,৪,৭ ও ১১। এই আসনগুলো নিজেদের মধ্যে রাখার জন্য মরিয়া দল তিনটি।
এর মধ্যে কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা , স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, কুমিল্লা-৪ ( দেবীদ্বার) আসনে এনসিপির দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সাবেক প্রতিমন্ত্রী মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ ও কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিল মাসের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। ওই নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জাসদ (ইনু) ছাড়া বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল নির্বাচনী এলাকায় সাংগঠনিক কাজ করছে। দলীয় নেতাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে কাজ করছেন। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। এর মধ্যে চারটি আসনে একে অন্যের বিরুদ্ধে কথার লড়াই শুরু করেছে। চৌদ্দগ্রামে বিএনপি জামায়াত মারামারি হয়েছে একবার। মুরাদনগরে সাবেক প্রতিমন্ত্রী কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদের অনুসারিদের সঙ্গে আসিফের অনুসারিদের নানা ধরনের বিরোধ, মামলা, হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিএনপির দাবি মুরাদনগরে পুলিশ আসিফের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। দেবীদ্বারে বিএনপির নেতাকর্মীরা এনসিপির নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর ক্ষিপ্ত। তাঁকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয় দেবীদ্বারে। চান্দিনায় রেদোয়ান আহমেদের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা। সেখানে রেদোয়ান ও বিএনপির সভাপতি শাওনের সঙ্গে বিরোধ চরমে। পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিচ্ছেন এলডিপি ও বিএনপির নেতাকর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মুরাদনগরে সাবেক সংসদ সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনের অনুসারি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এনসিপির পক্ষে আছেন কেউ কেউ। এ নিয়ে বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগও করেছে। দেবীদ্বারে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের অনুসারিরা এনসিপি ও বিএনপির পক্ষে আছেন কেউ কেউ।
জানতে চাইলে বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া বলেন, বিএনপি দেশের এক নম্বর রাজনৈতিক দল। এই দলের প্রার্থীদের ঠেকাতে ছোট ছোট দলগুলোর নেতাকর্মীরা কাজ করবে, এটাই স্বাভাবিক। মানুষ বিএনপিকে ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। সাংগঠনিকভাবে বিএনপি অনেক শক্তিশালী। জেলার সব আসনেই বিএনপি ভালো করবে। ৭৮ থেকে ২৫ অনেক দীর্ঘপথ। হঠাৎ করে রাজনীতিতে জয় পাওয়া কঠিন। আমরা চাই সব দলের অংশগ্রহণে ভোট হোক।
কুমিল্লার ১১ টি সংসদীয় আসনেই এখন সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী বিএনপি। ৫ আগস্টের পর বিএনপির নেতাকর্মীরা বাড়িঘরে পুরোদমে ফিরেছেন। তৃণমূলে দলকে শক্তিশালী করার জন্য কমিটি গঠন করেছে। সামাজিক নানা সংগঠনে যুক্ত হয়েছে। ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে কুমিল্লা দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক জাকারিয়া তাহের সুমনের নেতৃত্বে সাংগঠনিক সফর দলকে চাঙা করেছে। আগে চৌদ্দগ্রামে সাংগঠনিকভাবে বিএনপি পিছিয়ে থাকলেও এখন কামরুল হুদার নেতৃত্বে ওই উপজেলায় বিএনপি সাংগঠনিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এরপরেও কুমিল্লার চারটি আসনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে জামায়াতে ইসলামী, এলডিপি ও এনসিপি। আসন চারটি হল কুমিল্লা -৩,৪,৭ ও ১১। এই আসনগুলো নিজেদের মধ্যে রাখার জন্য মরিয়া দল তিনটি।
এর মধ্যে কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা , স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, কুমিল্লা-৪ ( দেবীদ্বার) আসনে এনসিপির দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সাবেক প্রতিমন্ত্রী মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ ও কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি অথবা এপ্রিল মাসের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। ওই নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জাসদ (ইনু) ছাড়া বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল নির্বাচনী এলাকায় সাংগঠনিক কাজ করছে। দলীয় নেতাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে কাজ করছেন। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। এর মধ্যে চারটি আসনে একে অন্যের বিরুদ্ধে কথার লড়াই শুরু করেছে। চৌদ্দগ্রামে বিএনপি জামায়াত মারামারি হয়েছে একবার। মুরাদনগরে সাবেক প্রতিমন্ত্রী কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদের অনুসারিদের সঙ্গে আসিফের অনুসারিদের নানা ধরনের বিরোধ, মামলা, হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিএনপির দাবি মুরাদনগরে পুলিশ আসিফের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। দেবীদ্বারে বিএনপির নেতাকর্মীরা এনসিপির নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর ক্ষিপ্ত। তাঁকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয় দেবীদ্বারে। চান্দিনায় রেদোয়ান আহমেদের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা। সেখানে রেদোয়ান ও বিএনপির সভাপতি শাওনের সঙ্গে বিরোধ চরমে। পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিচ্ছেন এলডিপি ও বিএনপির নেতাকর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মুরাদনগরে সাবেক সংসদ সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনের অনুসারি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এনসিপির পক্ষে আছেন কেউ কেউ। এ নিয়ে বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগও করেছে। দেবীদ্বারে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের অনুসারিরা এনসিপি ও বিএনপির পক্ষে আছেন কেউ কেউ।
জানতে চাইলে বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া বলেন, বিএনপি দেশের এক নম্বর রাজনৈতিক দল। এই দলের প্রার্থীদের ঠেকাতে ছোট ছোট দলগুলোর নেতাকর্মীরা কাজ করবে, এটাই স্বাভাবিক। মানুষ বিএনপিকে ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। সাংগঠনিকভাবে বিএনপি অনেক শক্তিশালী। জেলার সব আসনেই বিএনপি ভালো করবে। ৭৮ থেকে ২৫ অনেক দীর্ঘপথ। হঠাৎ করে রাজনীতিতে জয় পাওয়া কঠিন। আমরা চাই সব দলের অংশগ্রহণে ভোট হোক।
নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা ১৪৪টি রাজনৈতিক দলের কোনো দলই প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হতে পারেনি।
২ দিন আগেবাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জ, আওয়ামী লীগ প্রশ্নে ইসির অবস্থান, নির্বাচনের প্রস্তুতি নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দেওয়ার সিদ্ধান্তসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিবিসি বাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
৪ দিন আগে