আমার শহর ডেস্ক
বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জ, আওয়ামী লীগ প্রশ্নে ইসির অবস্থান, নির্বাচনের প্রস্তুতি নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দেওয়ার সিদ্ধান্তসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিবিসি বাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
অনেকগুলো দল নির্বাচন কমিশনের কাছে নিবন্ধন চেয়েছে।
প্রায় দেড়শোর মতো। অনেকের সাইনবোর্ডও নাই, ঝড়ে উড়ে গেছে। নির্বাচনের সময় তো খুব বেশি নেই। এই নিবন্ধনের বিষয়ে কমিশন কী করবে, জানতে চাওয়া হয় সিইসির কাছে।
তিনি বলেন, আমাদের তো স্ক্রুটিনি (যাচাই বাছাই) শুরু হয়ে গেছে। আমরা সব আবেদন পর্যালোচনা করছি। যাদের যে ডকুমেন্টস শর্ট আছে, যাদের শর্ট আছে তাদেরকে আমরা ১৫ দিন সময় দেব। সময় দেওয়ার পর যারা কন্ডিশন ফুলফিল করবে না তাদের তো আমরা রেজিস্ট্রেশন দিতে পারব না। আইন অনুযায়ী যে শর্ত আছে সেটা পূরণ করলেই তারা নিবন্ধন পাবে।
দলের সংখ্যা তো বেশি। এই সময়ের মধ্যে যাচাই-বাছাই করা যাবে কি না, জানতে চাইলে নাসির উদ্দিন বলেন, অসুবিধা নাই, আমাদের তো ফিল্ড অফিস আছে অনেক, ওরাই আমাদের রিপ্রেজেন্ট করে। পাঁচ হাজার ৭০০ লোক কাজ করে আমাদের ফিল্ডে। তাদের মাধ্যমে-যাচাই বাছাই অলরেডি শুরু করে দিয়েছি। অনেক ক্ষেত্রে রিপোর্ট আসা শুরু করেছে।
নিবন্ধন প্রত্যাশী দল এনসিপি প্রতীক হিসেবে শাপলা চেয়েছে। এ নিয়ে একটা বিতর্কও আছে যেহেতু জাতীয় ফুলও শাপলা। এ বিষয়ে কমিশন কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টা আমরা খুব সিরিয়াসলি বিবেচনা করেছি আমাদের কমিশনে। আমাদের কমিশনের একটা সিদ্ধান্ত হলো আমরা কোনো সিদ্ধান্ত কনসেনসাস (ঐকমত্য) ছাড়া নিই না। মেজরিটির মতামত নিয়েই করে থাকি। কারো ওপর চাপিয়ে দিই না কোনো কিছু। পাঁচজন মিলেই এই কমিশন।
তিনি বলেন, এই শাপলা নিয়েও আমরা অনেক ইনভেস্টিগেট করেছি, বিষয়টা এক্সামিন করেছি। কিছু আইনি বিষয় আছে এখানে। ন্যাশনাল ফ্ল্যাগ নিয়ে একটি আইনই আছে। আরেকটি বিষয় আছে এখানে। এনসিপি চেয়েছে, এর আগে নাগরিক ঐক্যও চেয়েছিল। নাগরিক ঐক্য চেয়েছিল আট-দশদিন আগে নাগরিক ঐক্যের একটা প্রতিনিধিদল এসেছিল। তাদের মেইন ফোকাস হলো শাপলা। তারা বলেছে আমরা শাপলা চেয়েছি আপনারা দেন নাই। আমরা ওদের আবেদন পেন্ডিং রেখেছি। তারা বলল যে দেখেন আমরা কিন্তু অনেক আগেই অ্যাপ্লাই করেছি, এনসিপি করেছে পরে। আমরা একটা রেজিস্টার্ড দল। এনসিপি রেজিস্ট্রেশনই পায়নি। আমাদের আইন অনুযায়ী যারা আগে ক্লেম করবে তাদের দিতে হয়, সুতরাং সুযোগটা সীমিত।
এনসিপির চাওয়া শাপলা নিয়ে কী করবেন, জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ওই যে বললাম তো, যদি দিতে হয় তাহলে নাগরিক ঐক্যকে দিতে হবে।
যারা আগে চেয়েছে তাদেরকে দেবেন, নাকি শাপলা প্রতীকই দেবেন না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছু আইনি ইস্যু আছে তো। এ জন্য কমিশনে বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি শাপলাকে আমরা প্রতীক হিসেবে রাখবো না।
শাপলা প্রতীক কেউ পাচ্ছে না তাহলে, এমন প্রশ্নের উত্তরে সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, না কেউ পাচ্ছে না। আমাদের সিদ্ধান্ত তাই-ই।
জামায়াতকে পূর্ববর্তী প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ফিরিয়ে দিয়েছে কমিশন। এটা কোন প্রক্রিয়ায় হয়েছে, সেটিও তো প্রতীকের তালিকায় ছিল না, বাদ দেওয়া হয়েছিল- জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাদ দেওয়া হয়েছিল তো কোর্টের একটা রায় ছিল তাদের নিবন্ধন বাতিলের জন্য। সম্ভবত ২০১৩ সালে। নিবন্ধন বাতিল প্রতীকসহ হয়েছিল। তখন এটাকে আমরা বাদ দিয়ে দিয়েছি। এখন আমরা অ্যাপিলেট ডিভিশনের জাজমেন্ট পেয়েছি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা যে অর্ডারে তাদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করেছি, যখন কোনো পার্টিকে রেজিস্ট্রেশন দেই তখন রেজিস্ট্রেশন প্লাস প্রতীক দিতে হয়। সুতরাং তাদের যখন সার্টিফিকেট দিতে হয়, তখন ওখানে কিন্তু প্রতীকসহই ছিল এবং স্ট্যাটাস কো যখন হয়েছে তখন প্রতীকসহই স্ট্যাটাস কো হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি হাসিমুখে ঢুকেছি, হাসিমুখে যেতে চাই এবং সেটার জন্য দেশবাসীর সহযোগিতা চাই। সবার সহযোগিতা নিয়ে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে আরম্ভ করে, প্রশাসন থেকে আরম্ভ করে সবার সহযোগিতা নিয়ে আমার হাসির ব্যবস্থাটা হবে ইনশাল্লাহ।
বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জ, আওয়ামী লীগ প্রশ্নে ইসির অবস্থান, নির্বাচনের প্রস্তুতি নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দেওয়ার সিদ্ধান্তসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিবিসি বাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
অনেকগুলো দল নির্বাচন কমিশনের কাছে নিবন্ধন চেয়েছে।
প্রায় দেড়শোর মতো। অনেকের সাইনবোর্ডও নাই, ঝড়ে উড়ে গেছে। নির্বাচনের সময় তো খুব বেশি নেই। এই নিবন্ধনের বিষয়ে কমিশন কী করবে, জানতে চাওয়া হয় সিইসির কাছে।
তিনি বলেন, আমাদের তো স্ক্রুটিনি (যাচাই বাছাই) শুরু হয়ে গেছে। আমরা সব আবেদন পর্যালোচনা করছি। যাদের যে ডকুমেন্টস শর্ট আছে, যাদের শর্ট আছে তাদেরকে আমরা ১৫ দিন সময় দেব। সময় দেওয়ার পর যারা কন্ডিশন ফুলফিল করবে না তাদের তো আমরা রেজিস্ট্রেশন দিতে পারব না। আইন অনুযায়ী যে শর্ত আছে সেটা পূরণ করলেই তারা নিবন্ধন পাবে।
দলের সংখ্যা তো বেশি। এই সময়ের মধ্যে যাচাই-বাছাই করা যাবে কি না, জানতে চাইলে নাসির উদ্দিন বলেন, অসুবিধা নাই, আমাদের তো ফিল্ড অফিস আছে অনেক, ওরাই আমাদের রিপ্রেজেন্ট করে। পাঁচ হাজার ৭০০ লোক কাজ করে আমাদের ফিল্ডে। তাদের মাধ্যমে-যাচাই বাছাই অলরেডি শুরু করে দিয়েছি। অনেক ক্ষেত্রে রিপোর্ট আসা শুরু করেছে।
নিবন্ধন প্রত্যাশী দল এনসিপি প্রতীক হিসেবে শাপলা চেয়েছে। এ নিয়ে একটা বিতর্কও আছে যেহেতু জাতীয় ফুলও শাপলা। এ বিষয়ে কমিশন কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টা আমরা খুব সিরিয়াসলি বিবেচনা করেছি আমাদের কমিশনে। আমাদের কমিশনের একটা সিদ্ধান্ত হলো আমরা কোনো সিদ্ধান্ত কনসেনসাস (ঐকমত্য) ছাড়া নিই না। মেজরিটির মতামত নিয়েই করে থাকি। কারো ওপর চাপিয়ে দিই না কোনো কিছু। পাঁচজন মিলেই এই কমিশন।
তিনি বলেন, এই শাপলা নিয়েও আমরা অনেক ইনভেস্টিগেট করেছি, বিষয়টা এক্সামিন করেছি। কিছু আইনি বিষয় আছে এখানে। ন্যাশনাল ফ্ল্যাগ নিয়ে একটি আইনই আছে। আরেকটি বিষয় আছে এখানে। এনসিপি চেয়েছে, এর আগে নাগরিক ঐক্যও চেয়েছিল। নাগরিক ঐক্য চেয়েছিল আট-দশদিন আগে নাগরিক ঐক্যের একটা প্রতিনিধিদল এসেছিল। তাদের মেইন ফোকাস হলো শাপলা। তারা বলেছে আমরা শাপলা চেয়েছি আপনারা দেন নাই। আমরা ওদের আবেদন পেন্ডিং রেখেছি। তারা বলল যে দেখেন আমরা কিন্তু অনেক আগেই অ্যাপ্লাই করেছি, এনসিপি করেছে পরে। আমরা একটা রেজিস্টার্ড দল। এনসিপি রেজিস্ট্রেশনই পায়নি। আমাদের আইন অনুযায়ী যারা আগে ক্লেম করবে তাদের দিতে হয়, সুতরাং সুযোগটা সীমিত।
এনসিপির চাওয়া শাপলা নিয়ে কী করবেন, জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ওই যে বললাম তো, যদি দিতে হয় তাহলে নাগরিক ঐক্যকে দিতে হবে।
যারা আগে চেয়েছে তাদেরকে দেবেন, নাকি শাপলা প্রতীকই দেবেন না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছু আইনি ইস্যু আছে তো। এ জন্য কমিশনে বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি শাপলাকে আমরা প্রতীক হিসেবে রাখবো না।
শাপলা প্রতীক কেউ পাচ্ছে না তাহলে, এমন প্রশ্নের উত্তরে সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, না কেউ পাচ্ছে না। আমাদের সিদ্ধান্ত তাই-ই।
জামায়াতকে পূর্ববর্তী প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ফিরিয়ে দিয়েছে কমিশন। এটা কোন প্রক্রিয়ায় হয়েছে, সেটিও তো প্রতীকের তালিকায় ছিল না, বাদ দেওয়া হয়েছিল- জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাদ দেওয়া হয়েছিল তো কোর্টের একটা রায় ছিল তাদের নিবন্ধন বাতিলের জন্য। সম্ভবত ২০১৩ সালে। নিবন্ধন বাতিল প্রতীকসহ হয়েছিল। তখন এটাকে আমরা বাদ দিয়ে দিয়েছি। এখন আমরা অ্যাপিলেট ডিভিশনের জাজমেন্ট পেয়েছি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা যে অর্ডারে তাদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করেছি, যখন কোনো পার্টিকে রেজিস্ট্রেশন দেই তখন রেজিস্ট্রেশন প্লাস প্রতীক দিতে হয়। সুতরাং তাদের যখন সার্টিফিকেট দিতে হয়, তখন ওখানে কিন্তু প্রতীকসহই ছিল এবং স্ট্যাটাস কো যখন হয়েছে তখন প্রতীকসহই স্ট্যাটাস কো হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি হাসিমুখে ঢুকেছি, হাসিমুখে যেতে চাই এবং সেটার জন্য দেশবাসীর সহযোগিতা চাই। সবার সহযোগিতা নিয়ে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে আরম্ভ করে, প্রশাসন থেকে আরম্ভ করে সবার সহযোগিতা নিয়ে আমার হাসির ব্যবস্থাটা হবে ইনশাল্লাহ।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমা করা যাবে না, তিনি মানবজাতির কলঙ্ক।”
৮ ঘণ্টা আগেনির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা ১৪৪টি রাজনৈতিক দলের কোনো দলই প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হতে পারেনি।
৫ দিন আগে