• কুমিল্লা সিটি করপোরেশন
  • কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
  • আদর্শ সদর
  • বরুড়া
  • লাকসাম
  • দাউদকান্দি
  • আরও
    • চৌদ্দগ্রাম
    • সদর দক্ষিণ
    • নাঙ্গলকোট
    • বুড়িচং
    • ব্রাহ্মণপাড়া
    • মনোহরগঞ্জ
    • লালমাই
    • চান্দিনা
    • মুরাদনগর
    • দেবীদ্বার
    • হোমনা
    • মেঘনা
    • তিতাস
  • সর্বশেষ
  • রাজনীতি
  • বাংলাদেশ
  • অপরাধ
  • বিশ্ব
  • বাণিজ্য
  • মতামত
  • খেলা
  • বিনোদন
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • ইপেপার
  • ইপেপার
facebooktwittertiktokpinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
স্বত্ব: ©️ আমার শহর
> মতামত

আইনশৃঙ্খলা ও দুদক সামলানো জরুরি

অধ্যাপক ডাঃ মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ
প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২৫, ১৮: ৪১
আপডেট : ২০ জুলাই ২০২৫, ১২: ৩০
logo

আইনশৃঙ্খলা ও দুদক সামলানো জরুরি

অধ্যাপক ডাঃ মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ

প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২৫, ১৮: ৪১
Photo

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ঘোষিত চিরুনী অভিযান আরও জোরদারের কথা শুনা যাচ্ছে। পুলিশ সদর দপ্তরে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সারা দেশের এসপিরা এ সময় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন। অভিযান জোরদার করতে এসপিদের বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়। সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের কোন ছাড় না দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। অবৈধ অস্ত্র উদ্বারে জোড় দেয়া হয়।

ডিএমপির সূত্রে জানা যায়, ডিএমপি সবসময়ই নগরবাসীর নিরাপত্তার ব্যাপারে তৎপর। বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি হলে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। চিরুনী অভিযান ঘোষনার পর ডিএমপির সব ইউনিটের কার্যক্রমে অধিকতর গতি আনার ব্যবস্থা করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী অভিযান চালানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সব ইউনিটকে।

দেশে বেশ কিছুদিন ধরেই 'ডেভিল হান্ট' অভিযান চলছে। এ অভিযানে প্রতিনিয়ত অপরাধীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। উদ্ধার করা হচ্ছে অস্ত্র ও গুলাবারুদ। এরপরও বন্ধ হচ্ছে না সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের অপতৎপরতা। মব সৃষ্টি করে নৈরাজ্যের পাশাপাশি ঘটিয়ে যাচ্ছে একের পর এক নৃশংস ঘটনাও। সম্প্রতি মিটফোর্ট হাসপাতালের সামনে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে ও মাথা থ্যাতলে হত্যার ঘটনাটি দেশব্যাপী চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। নৃশংস এই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর সারাদেশে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। দোষীদের শাস্তির দাবীতে বিভিন্ন সংগঠন কর্মসূচি পালন করছে। এসব প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সারাদেশে চিরুনী অভিযানের ঘোষণা দেয়া হয়।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশের রাজনীতির মঞ্চ উত্তপ্ত হবে এটাই গণতন্ত্রের শালীনতা বা সৌন্দর্য্য। কিন্তু এহেন পরিস্থিতিতে কুচক্রীরা নিজেদের ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টায় লিপ্ত হচ্ছে। এ হিংস্র উন্মাদনার পেছনে যারাই থাকুক তাদের আইনের সম্মুখীন করতে হবে। নতুবা, এটা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গড়ে তোলার পরিবেশকে বিপন্ন করবে। সুশাসন নিশ্চিতে সকল দলকে সর্বাত্মকভাবে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের পক্ষে থাকতে হবে। আমার মনে হয়, অপশক্তির হিংস্রতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ২৪ এর অর্জন ম্লান হয়ে পড়বে। একটি বৈষম্যহীন, সুবিচারপূর্ণ, সুশাসিত গণতান্ত্রিক সমাজের যে স্বপ্ন সবাই হৃদয়ে লালন করছে তা আর বাস্তবে রূপাত্তর সম্ভব হবে না। এমন পরিস্থিতি কোনভাবেই কাম্য নয়। বঢ়যন্ত্রের যে মেঘ জমেছে তা যেন আকাশকে ঢেকে ফেলতে না পাড়ে, সেজন্য সকল পক্ষকে সচেতন হওয়ার এখনই সময়। আগামী নির্বাচনকে ঘিরে কেউ যেন দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে ঢেলে দিতে না পারে, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। চলমান চিরুনী অভিযান সঠিকভবে পরিচালিত হোক এবং প্রকৃত অপরাধীরা ধরা পড়ুক এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।

বিগত আমলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দুর্নীতি দমনের চেয়ে দায়মুক্তি দেয়ার ব্যাপারেই উৎসাহী ছিল বেশী। দুদকের আইন, সুযোগ, ক্ষমতা থাকলেও সংস্থাটির যোগ্যতা ও দক্ষতার অভাব ছিল। দুদকের সামগ্রিক জনবল ছিল বড় বড় দুর্নীতির ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার কারিগর। তাদের ইশারায় দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী, এমপি ও আমলাদের রক্ষা করা হত। শুধু তাই নয়, মামলার জালে ফাঁসানো হতো সরকারবিরোধী নেতা ও ব্যবসায়ীদের। আবার তাদের বিরুদ্ধে ব্যাংক, বীমা লোটপাটকারীদের ছেড়ে দিয়ে অনেক অর্থ উপার্জনেরও অভিযোগ রয়েছে। বিগত সরকারের ইশারায় দুদককে রীতিমত লুটপাটের হাতিয়ারে পরিণত করেছিলেন দুদকের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ। বিশেষজ্ঞদের মতে, অতীতে দুর্নীতি প্রতিরোধের দায়িত্বে যারা ছিলেন, তারা দুর্নীতিগ্রস্থ হয়েছিলেন বলেই দুর্নীতি প্রতিরোধ হয়নি। দুদকের কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োগে যে প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয়েছিল সেটাও ত্রুটিপূর্ণ। অনেক দুর্নীতির ঘটনা ধামাচাপা দেয়া হয়েছে। অনেক মামলা থেকে আসামিদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। অনেকে বলতে শুনেছি সরিষার ভিতরে ভূত থাকিলে সেই ভূত তাড়াবে কে?

এনবিআর এর একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, ইতিমধ্যে প্রশাসনিক ও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার বাইরে থাকা আন্দোলন সংশ্লিষ্ট অবশিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দৈনন্দিন কার্যক্রম ও নীতিবিধি নজরদারীর মধ্যে রাখা হয়েছে। এখনো কেউ কেউ পরিস্থিতি ঘোলাটে করার গোপন অপতৎপরতায় লিপ্ত। আরও জানা যায়, পরবর্তী ধাপে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। এ ব্যাপারে দুদকের অবস্থান কঠিন করে এনবিআরকে দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য সবার আবেদন ও চাহিদা। তবে সাধারণ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নাই। তৎকালিন সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নই ছিল দুদকের বিভিন্ন কমিশনসমূহের কাজ। এ কমিশনসমূহ বড় বড় অনেক দুর্নীতিবাজকে দায়মুক্তি দিয়েছেন। অথচ দুদকের আওতাভুক্ত নয় এমন অভিযোগে বিরোধী দলের নেতা ও ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা হয়েছিল। অভিযোগ আছে কমিশনের বিদায়ের আগে অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মামলা ও অনুসন্ধান নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বিগতদিনে কমিশনগুলো গণহারে অভিযুক্তদের দায়মুক্তি উদ্ঘাটন করা দরকার। বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন, দুদককে ধ্বংস করার দায়ে এবং দুর্নীতিবাজদের রক্ষার অভিযোগে দুদকের উল্লেখিত কর্মকর্তা কর্মচারী ও কমিশনারদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনী পদক্ষেপ নেয়া না হলে ভবিষ্যতে একই ঘটনার পুণরাবৃত্তি হতে পারে।

অধ্যাপক ডাঃ মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ: সাবেক অধ্যক্ষ, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ।

Thumbnail image

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ঘোষিত চিরুনী অভিযান আরও জোরদারের কথা শুনা যাচ্ছে। পুলিশ সদর দপ্তরে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সারা দেশের এসপিরা এ সময় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন। অভিযান জোরদার করতে এসপিদের বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়। সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের কোন ছাড় না দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। অবৈধ অস্ত্র উদ্বারে জোড় দেয়া হয়।

ডিএমপির সূত্রে জানা যায়, ডিএমপি সবসময়ই নগরবাসীর নিরাপত্তার ব্যাপারে তৎপর। বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি হলে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। চিরুনী অভিযান ঘোষনার পর ডিএমপির সব ইউনিটের কার্যক্রমে অধিকতর গতি আনার ব্যবস্থা করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী অভিযান চালানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সব ইউনিটকে।

দেশে বেশ কিছুদিন ধরেই 'ডেভিল হান্ট' অভিযান চলছে। এ অভিযানে প্রতিনিয়ত অপরাধীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। উদ্ধার করা হচ্ছে অস্ত্র ও গুলাবারুদ। এরপরও বন্ধ হচ্ছে না সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের অপতৎপরতা। মব সৃষ্টি করে নৈরাজ্যের পাশাপাশি ঘটিয়ে যাচ্ছে একের পর এক নৃশংস ঘটনাও। সম্প্রতি মিটফোর্ট হাসপাতালের সামনে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে ও মাথা থ্যাতলে হত্যার ঘটনাটি দেশব্যাপী চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। নৃশংস এই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর সারাদেশে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। দোষীদের শাস্তির দাবীতে বিভিন্ন সংগঠন কর্মসূচি পালন করছে। এসব প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সারাদেশে চিরুনী অভিযানের ঘোষণা দেয়া হয়।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশের রাজনীতির মঞ্চ উত্তপ্ত হবে এটাই গণতন্ত্রের শালীনতা বা সৌন্দর্য্য। কিন্তু এহেন পরিস্থিতিতে কুচক্রীরা নিজেদের ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টায় লিপ্ত হচ্ছে। এ হিংস্র উন্মাদনার পেছনে যারাই থাকুক তাদের আইনের সম্মুখীন করতে হবে। নতুবা, এটা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গড়ে তোলার পরিবেশকে বিপন্ন করবে। সুশাসন নিশ্চিতে সকল দলকে সর্বাত্মকভাবে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের পক্ষে থাকতে হবে। আমার মনে হয়, অপশক্তির হিংস্রতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ২৪ এর অর্জন ম্লান হয়ে পড়বে। একটি বৈষম্যহীন, সুবিচারপূর্ণ, সুশাসিত গণতান্ত্রিক সমাজের যে স্বপ্ন সবাই হৃদয়ে লালন করছে তা আর বাস্তবে রূপাত্তর সম্ভব হবে না। এমন পরিস্থিতি কোনভাবেই কাম্য নয়। বঢ়যন্ত্রের যে মেঘ জমেছে তা যেন আকাশকে ঢেকে ফেলতে না পাড়ে, সেজন্য সকল পক্ষকে সচেতন হওয়ার এখনই সময়। আগামী নির্বাচনকে ঘিরে কেউ যেন দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে ঢেলে দিতে না পারে, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। চলমান চিরুনী অভিযান সঠিকভবে পরিচালিত হোক এবং প্রকৃত অপরাধীরা ধরা পড়ুক এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা।

বিগত আমলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দুর্নীতি দমনের চেয়ে দায়মুক্তি দেয়ার ব্যাপারেই উৎসাহী ছিল বেশী। দুদকের আইন, সুযোগ, ক্ষমতা থাকলেও সংস্থাটির যোগ্যতা ও দক্ষতার অভাব ছিল। দুদকের সামগ্রিক জনবল ছিল বড় বড় দুর্নীতির ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার কারিগর। তাদের ইশারায় দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী, এমপি ও আমলাদের রক্ষা করা হত। শুধু তাই নয়, মামলার জালে ফাঁসানো হতো সরকারবিরোধী নেতা ও ব্যবসায়ীদের। আবার তাদের বিরুদ্ধে ব্যাংক, বীমা লোটপাটকারীদের ছেড়ে দিয়ে অনেক অর্থ উপার্জনেরও অভিযোগ রয়েছে। বিগত সরকারের ইশারায় দুদককে রীতিমত লুটপাটের হাতিয়ারে পরিণত করেছিলেন দুদকের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ। বিশেষজ্ঞদের মতে, অতীতে দুর্নীতি প্রতিরোধের দায়িত্বে যারা ছিলেন, তারা দুর্নীতিগ্রস্থ হয়েছিলেন বলেই দুর্নীতি প্রতিরোধ হয়নি। দুদকের কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োগে যে প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয়েছিল সেটাও ত্রুটিপূর্ণ। অনেক দুর্নীতির ঘটনা ধামাচাপা দেয়া হয়েছে। অনেক মামলা থেকে আসামিদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। অনেকে বলতে শুনেছি সরিষার ভিতরে ভূত থাকিলে সেই ভূত তাড়াবে কে?

এনবিআর এর একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, ইতিমধ্যে প্রশাসনিক ও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার বাইরে থাকা আন্দোলন সংশ্লিষ্ট অবশিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দৈনন্দিন কার্যক্রম ও নীতিবিধি নজরদারীর মধ্যে রাখা হয়েছে। এখনো কেউ কেউ পরিস্থিতি ঘোলাটে করার গোপন অপতৎপরতায় লিপ্ত। আরও জানা যায়, পরবর্তী ধাপে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। এ ব্যাপারে দুদকের অবস্থান কঠিন করে এনবিআরকে দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য সবার আবেদন ও চাহিদা। তবে সাধারণ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নাই। তৎকালিন সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নই ছিল দুদকের বিভিন্ন কমিশনসমূহের কাজ। এ কমিশনসমূহ বড় বড় অনেক দুর্নীতিবাজকে দায়মুক্তি দিয়েছেন। অথচ দুদকের আওতাভুক্ত নয় এমন অভিযোগে বিরোধী দলের নেতা ও ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা হয়েছিল। অভিযোগ আছে কমিশনের বিদায়ের আগে অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মামলা ও অনুসন্ধান নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বিগতদিনে কমিশনগুলো গণহারে অভিযুক্তদের দায়মুক্তি উদ্ঘাটন করা দরকার। বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন, দুদককে ধ্বংস করার দায়ে এবং দুর্নীতিবাজদের রক্ষার অভিযোগে দুদকের উল্লেখিত কর্মকর্তা কর্মচারী ও কমিশনারদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনী পদক্ষেপ নেয়া না হলে ভবিষ্যতে একই ঘটনার পুণরাবৃত্তি হতে পারে।

অধ্যাপক ডাঃ মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ: সাবেক অধ্যক্ষ, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১

আইনশৃঙ্খলা ও দুদক সামলানো জরুরি

২

জুলাই ডায়েরি

৩

লাইফ ইজ নট অ্যা ব্যাড অফ রোজেস!

৪

জিপিএ ফাইভ এবং প্রজন্মের গন্তব্য!

৫

কবি আল মাহমুদের জন্মদিনে

সম্পর্কিত

জুলাই ডায়েরি

জুলাই ডায়েরি

৫ দিন আগে
লাইফ ইজ নট  অ্যা ব্যাড অফ রোজেস!

লাইফ ইজ নট অ্যা ব্যাড অফ রোজেস!

৬ দিন আগে
জিপিএ ফাইভ এবং প্রজন্মের গন্তব্য!

জিপিএ ফাইভ এবং প্রজন্মের গন্তব্য!

৮ দিন আগে
কবি আল মাহমুদের জন্মদিনে

কবি আল মাহমুদের জন্মদিনে

৯ দিন আগে