• কুমিল্লা সিটি করপোরেশন
  • কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
  • আদর্শ সদর
  • বরুড়া
  • লাকসাম
  • দাউদকান্দি
  • আরও
    • চৌদ্দগ্রাম
    • সদর দক্ষিণ
    • নাঙ্গলকোট
    • বুড়িচং
    • ব্রাহ্মণপাড়া
    • মনোহরগঞ্জ
    • লালমাই
    • চান্দিনা
    • মুরাদনগর
    • দেবীদ্বার
    • হোমনা
    • মেঘনা
    • তিতাস
  • সর্বশেষ
  • রাজনীতি
  • বাংলাদেশ
  • অপরাধ
  • বিশ্ব
  • বাণিজ্য
  • মতামত
  • খেলা
  • বিনোদন
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • ইপেপার
  • ইপেপার
facebooktwittertiktokpinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
স্বত্ব: ©️ আমার শহর
> অপরাধ

তনু হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থলে তদন্ত কর্মকর্তা, দুই বছর পর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ

আমার শহর ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ২১: ১৩
logo

তনু হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থলে তদন্ত কর্মকর্তা, দুই বছর পর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ

আমার শহর ডেস্ক

প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ২১: ১৩
Photo

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। সর্বশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বরের শুরুতে মামলাটির ষষ্ঠ তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পান পিবিআই পরিদর্শক মো. তরিকুল ইসলাম। দায়িত্ব গ্রহণের সাত মাস পর নতুন তদন্ত কর্মকর্তা তার নেতৃত্বে একটি দল গতকাল সোমবার কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসে।

তনুর ভাই মো. রুবেল হোসেন জানান, তারা কোনো একটি মামলাসংক্রান্ত কাজে হাজিরা দিতে এসেছিলেন। হাজিরা শেষে ক্যান্টনমেন্ট আসার পর আমার বাবাকে ফোন করেছিলেন। তারা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন বলে শুনেছি।

তিনি জানান, সর্বশেষ দুইবছর আগে আমাদের পরিবারের সঙ্গে কোনো কর্মকর্তা কথা বলেছিলেন। এরপর সোমবারই নতুন কর্মকর্তার সঙ্গে পরিবারের কোনো সদস্যের কথা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, সাত মাস আগে মামলাটির দায়িত্ব গ্রহণ করা হলেও বিভিন্ন কারণে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা হয়নি। সোমবার ঢাকা থেকে পিবিআইয়ের একটি টিম নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছি। এটা মামলার তদন্তের নিয়মিত কার্যক্রমের একটি অংশ। এরপর আমরা ঢাকায় ফিরে যাব। আমাদের সঙ্গে তনুর পরিবারের সদস্যদের কথা হয়েছে। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। আমরা চেষ্টা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের শনাক্ত করার জন্য।

তনুর মা আনোয়ারা বেগম বলেন, গত ৯ বছরে মামলার অগ্রগতি বলতে শুধুই তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন। আমরা এসব নাটক আর দেখতে চাই না। খুনিদের বিচার চাই।

এদিকে, এ হত্যার ঘটনায় মামলা হওয়ার পর শুরুতে থানা পুলিশ, পরে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) দীর্ঘ সময় ধরে মামলাটি তদন্ত করেও কোনো কূলকিনারা পায়নি। পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে ২০২০ সালের ২১ অক্টোবর তনু হত্যা মামলার নথি পিবিআইয়ের ঢাকা সদর দপ্তরে হস্তান্তর করে সিআইডি। প্রায় চার বছর মামলাটি তদন্ত করেছেন পিবিআই সদর দপ্তরের পুলিশ পরিদর্শক মো. মজিবুর রহমান। সর্বশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে মামলাটির ষষ্ঠ তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পেয়েছেন মো. তরিকুল ইসলাম।

২০১৬ সালের ২০ মার্চ সন্ধ্যায় কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরে একটি বাসায় টিউশনি করাতে গিয়ে আর বাসায় ফেরেননি তনু। পরে খোঁজাখুঁজি করে সেনানিবাসের পাওয়ার হাউসের অদূরে ঝোপের মধ্যে তার লাশ পাওয়া যায়। তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়। পরদিন তার বাবা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল ও ১২ জুন দুই দফা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তনুর মৃত্যুর কারণ খুঁজে না পাওয়ার তথ্য জানায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ।

২০১৭ সালের মে মাসে সিআইডি তনুর পোশাক থেকে নেওয়া নমুনার ডিএনএ পরীক্ষা করে তিনজন পুরুষের শুক্রাণু পাওয়ার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল। এ ছাড়া তনুর মায়ের সন্দেহ করা তিনজনকে ২০১৭ সালের ২৫ থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত সিআইডির একটি দল ঢাকা সেনানিবাসে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

Thumbnail image

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। সর্বশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বরের শুরুতে মামলাটির ষষ্ঠ তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পান পিবিআই পরিদর্শক মো. তরিকুল ইসলাম। দায়িত্ব গ্রহণের সাত মাস পর নতুন তদন্ত কর্মকর্তা তার নেতৃত্বে একটি দল গতকাল সোমবার কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসে।

তনুর ভাই মো. রুবেল হোসেন জানান, তারা কোনো একটি মামলাসংক্রান্ত কাজে হাজিরা দিতে এসেছিলেন। হাজিরা শেষে ক্যান্টনমেন্ট আসার পর আমার বাবাকে ফোন করেছিলেন। তারা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন বলে শুনেছি।

তিনি জানান, সর্বশেষ দুইবছর আগে আমাদের পরিবারের সঙ্গে কোনো কর্মকর্তা কথা বলেছিলেন। এরপর সোমবারই নতুন কর্মকর্তার সঙ্গে পরিবারের কোনো সদস্যের কথা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, সাত মাস আগে মামলাটির দায়িত্ব গ্রহণ করা হলেও বিভিন্ন কারণে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা হয়নি। সোমবার ঢাকা থেকে পিবিআইয়ের একটি টিম নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছি। এটা মামলার তদন্তের নিয়মিত কার্যক্রমের একটি অংশ। এরপর আমরা ঢাকায় ফিরে যাব। আমাদের সঙ্গে তনুর পরিবারের সদস্যদের কথা হয়েছে। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। আমরা চেষ্টা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের শনাক্ত করার জন্য।

তনুর মা আনোয়ারা বেগম বলেন, গত ৯ বছরে মামলার অগ্রগতি বলতে শুধুই তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন। আমরা এসব নাটক আর দেখতে চাই না। খুনিদের বিচার চাই।

এদিকে, এ হত্যার ঘটনায় মামলা হওয়ার পর শুরুতে থানা পুলিশ, পরে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) দীর্ঘ সময় ধরে মামলাটি তদন্ত করেও কোনো কূলকিনারা পায়নি। পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে ২০২০ সালের ২১ অক্টোবর তনু হত্যা মামলার নথি পিবিআইয়ের ঢাকা সদর দপ্তরে হস্তান্তর করে সিআইডি। প্রায় চার বছর মামলাটি তদন্ত করেছেন পিবিআই সদর দপ্তরের পুলিশ পরিদর্শক মো. মজিবুর রহমান। সর্বশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে মামলাটির ষষ্ঠ তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পেয়েছেন মো. তরিকুল ইসলাম।

২০১৬ সালের ২০ মার্চ সন্ধ্যায় কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরে একটি বাসায় টিউশনি করাতে গিয়ে আর বাসায় ফেরেননি তনু। পরে খোঁজাখুঁজি করে সেনানিবাসের পাওয়ার হাউসের অদূরে ঝোপের মধ্যে তার লাশ পাওয়া যায়। তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়। পরদিন তার বাবা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল ও ১২ জুন দুই দফা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তনুর মৃত্যুর কারণ খুঁজে না পাওয়ার তথ্য জানায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ।

২০১৭ সালের মে মাসে সিআইডি তনুর পোশাক থেকে নেওয়া নমুনার ডিএনএ পরীক্ষা করে তিনজন পুরুষের শুক্রাণু পাওয়ার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল। এ ছাড়া তনুর মায়ের সন্দেহ করা তিনজনকে ২০১৭ সালের ২৫ থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত সিআইডির একটি দল ঢাকা সেনানিবাসে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১

পুরান ঢাকায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডে নারায়ণগঞ্জ থেকে আরও একজন গ্রেপ্তার

২

‘‘রাজসাক্ষী হয়ে সম্পূর্ণ সত্য প্রকাশের শর্তে সাবেক আইজিপিকে ক্ষমার বিষয়ে বিবেচনা করা হবে’

৩

মিটফোর্ডে প্রকাশ্যে হত্যা, দুই আসামির রিমান্ড মঞ্জুর

৪

জুলাই গণহত্যার দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হলেন সাবেক আইজিপি মামুন

৫

ডিজিএফআই’র সাবেক মহাপরিচালকের ৪০ কোটি টাকার ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

সম্পর্কিত

পুরান ঢাকায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডে নারায়ণগঞ্জ থেকে আরও একজন গ্রেপ্তার

পুরান ঢাকায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডে নারায়ণগঞ্জ থেকে আরও একজন গ্রেপ্তার

৪ দিন আগে
‘‘রাজসাক্ষী হয়ে সম্পূর্ণ সত্য প্রকাশের শর্তে সাবেক আইজিপিকে ক্ষমার বিষয়ে বিবেচনা করা হবে’

‘‘রাজসাক্ষী হয়ে সম্পূর্ণ সত্য প্রকাশের শর্তে সাবেক আইজিপিকে ক্ষমার বিষয়ে বিবেচনা করা হবে’

৭ দিন আগে
মিটফোর্ডে প্রকাশ্যে হত্যা, দুই আসামির রিমান্ড মঞ্জুর

মিটফোর্ডে প্রকাশ্যে হত্যা, দুই আসামির রিমান্ড মঞ্জুর

৭ দিন আগে
জুলাই গণহত্যার দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হলেন সাবেক আইজিপি মামুন

জুলাই গণহত্যার দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হলেন সাবেক আইজিপি মামুন

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার করেছেন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। ট্রাইব্যুনালে তিনি বলেছেন, আমি জুলাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এই মামলায় আমি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রাজসাক্ষী হতে চাই।

৯ দিন আগে