নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কড়ইবাড়ি গ্রামে মা, ছেলে-মেয়েকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় র্যাব ছয়জনকে আজ সকালে রাজধানীর বনশ্রী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। র্যাব-১১, ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানী (সিপিসি)-২ এর কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সেনাবাহিনী ও পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছেন দুইজন। এই নিয়ে র্যাব, সেনাবাহিনী ও পুলিশ আটজনকে গ্রেপ্তার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকাল নয়টায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে কড়ইবাড়ি গ্রামের রোকসানা বেগম রুবি, ছেলে মো. রাসেল মিয়া ও মেয়ে তাসপিয়া আক্তার জোনাকী কে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ‘মব’ করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে গ্রামবাসী। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন রুবির আরেক মেয়ে রুমা আক্তার । তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাতে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রুমা সেখানে চিকিৎসাধীন।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও দীর্ঘ সময়ে মামলা হয়নি। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর গতকাল শুক্রবার রাত ১২টার দিকে নিহত রোকসানার বড় মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে ৩৮ জনের নাম এজাহারে উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে মুরাদনগর উপজেলার আকবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লালকে। এ ছাড়া মামলায় ওই ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য ( মেম্বার) বাচ্চু মিয়া ও বাছির উদ্দিনকেও আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর বাচ্চু ও বাছির পালিয়ে যান। তাঁদেও মুঠোফোনও বন্ধ। শিমুল বিল্লালের মুঠোফোন ঘটনার পর কখনো বন্ধ, কখনো খোলা পাওয়া গেছে। তবে মামলার দায়েরের পর তিনি ফোন বন্ধ করে দেন। শিমুল বিল্লাল কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম সরকারের অনুসারি ছিলেন। পরে তিনি সরকারের একজন উপদেষ্টার বলয়ে চলে যান বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রুবি কুমিল্লা জেলার অতি পরিচিত মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁকে বছরের পর বছর রাজনীতিবিদেরা প্রশ্রয় দিয়ে আসছেন। রাজনীতিবিদদের প্রশ্রয়ে মাদক ব্যবসা করে রুবি কাড়ি কাড়ি টাকা ও সাততলা ভবন করেন। এলাকায় রুবি অসামাজিক কাজ করছেন এ নিয়ে মানুষ তাঁর ওপর ক্ষুদ্ধ ছিল। তার ওপর রুবির হাতে টাকা ছিল। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের পুঞ্জীবিত ক্ষোভ থেকে গণপিটুনির শিকার হয়ে মারা যান তাঁরা।
কোম্পানী কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বলেন, তিন খুনের ঘটনায় ছয়জনকে রাজধানীর বনশ্রী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর তাঁরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে ছিলেন। তাঁদের র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বাঙ্গরা বাজার থানায় হস্তান্তর করা হবে।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কড়ইবাড়ি গ্রামে মা, ছেলে-মেয়েকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় র্যাব ছয়জনকে আজ সকালে রাজধানীর বনশ্রী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। র্যাব-১১, ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানী (সিপিসি)-২ এর কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সেনাবাহিনী ও পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছেন দুইজন। এই নিয়ে র্যাব, সেনাবাহিনী ও পুলিশ আটজনকে গ্রেপ্তার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকাল নয়টায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে কড়ইবাড়ি গ্রামের রোকসানা বেগম রুবি, ছেলে মো. রাসেল মিয়া ও মেয়ে তাসপিয়া আক্তার জোনাকী কে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ‘মব’ করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে গ্রামবাসী। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন রুবির আরেক মেয়ে রুমা আক্তার । তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাতে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রুমা সেখানে চিকিৎসাধীন।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও দীর্ঘ সময়ে মামলা হয়নি। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর গতকাল শুক্রবার রাত ১২টার দিকে নিহত রোকসানার বড় মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে ৩৮ জনের নাম এজাহারে উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে মুরাদনগর উপজেলার আকবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লালকে। এ ছাড়া মামলায় ওই ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য ( মেম্বার) বাচ্চু মিয়া ও বাছির উদ্দিনকেও আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর বাচ্চু ও বাছির পালিয়ে যান। তাঁদেও মুঠোফোনও বন্ধ। শিমুল বিল্লালের মুঠোফোন ঘটনার পর কখনো বন্ধ, কখনো খোলা পাওয়া গেছে। তবে মামলার দায়েরের পর তিনি ফোন বন্ধ করে দেন। শিমুল বিল্লাল কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম সরকারের অনুসারি ছিলেন। পরে তিনি সরকারের একজন উপদেষ্টার বলয়ে চলে যান বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রুবি কুমিল্লা জেলার অতি পরিচিত মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁকে বছরের পর বছর রাজনীতিবিদেরা প্রশ্রয় দিয়ে আসছেন। রাজনীতিবিদদের প্রশ্রয়ে মাদক ব্যবসা করে রুবি কাড়ি কাড়ি টাকা ও সাততলা ভবন করেন। এলাকায় রুবি অসামাজিক কাজ করছেন এ নিয়ে মানুষ তাঁর ওপর ক্ষুদ্ধ ছিল। তার ওপর রুবির হাতে টাকা ছিল। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের পুঞ্জীবিত ক্ষোভ থেকে গণপিটুনির শিকার হয়ে মারা যান তাঁরা।
কোম্পানী কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বলেন, তিন খুনের ঘটনায় ছয়জনকে রাজধানীর বনশ্রী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর তাঁরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে ছিলেন। তাঁদের র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বাঙ্গরা বাজার থানায় হস্তান্তর করা হবে।