জহিরুল ইসলাম
নির্বাচন আসলে প্রতিশ্রুতিও আসে। ভোটের পরে জনপ্রতিনিধিরা উন্নয়নের এসব প্রতিশ্রুতি মনে রাখেন না। বিভিন্ন অজুহাতে এড়িয়ে যান। বার বার এমন প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হলেও দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে ডাকাতিয়া নদীর ওপরে একটি সেতুর স্বপ্ন দেখে আসছেন কুমিল্লার লালমাই উপজেলার আলীশ্বর, শিকারীপাড়া ও পাড়া ভাবকপাড়ার ৫ সহস্রাধিক মানুষ।
বাঁশের তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ একটি সাঁকো দিয়েই চলছে তাদের নদী পারাপার। গ্রীষ্মে কিছুটা নিরাপদ হলেও বর্ষায় নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে এই সাঁকো পারাপার। ভয় আতঙ্ক নিয়েই শিক্ষার্থীরা স্কুল মাদ্রাসায় যায়।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ডাকাতিয়া নদীর পূর্ব পাড়ে উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়নের আলীশ্বর এবং পশ্চিম পাড়ে বাকই উত্তর ইউনিয়নের শিকারীপাড়া ও পাড়া ভাবকপাড়া গ্রামটি অবস্থিত। পশ্চিম পাড়ের দুই গ্রামের শিক্ষার্থীদের নদী পার হয়ে পূর্বপাড়ের আলীশ্বর দ্বীনিয়া মাদরাসা, আলীশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আলীশ্বর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়তে যেতে হয়। দৈনন্দিন হাট-বাজার, চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল ও সরকারি প্রয়োজনে জেলা-উপজেলায় যেতে হলেও এলাকাবাসীর এই সাঁকোই একমাত্র ভরসা। এছাড়া পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত ‘শাহ আলীর মাজারে’ মানত করতে আসা মানুষদেরও নদী পার হতে হয়। প্রতি বছর ওরশের রাতে পূর্ব পাড়ের ৭-৮ গ্রামের ১০ সহস্রাধিক মানুষ এই সাঁকো বেয়েই মাজারে যায়। তিন গ্রামের মানুষ প্রতি বছর চাঁদা তুলে নতুন বাঁশ দিয়ে প্রায় ১শ ফুটের সাঁকোটি মেরামত করে আসছে। আগামী বছর বাঁশের সাঁকো নয়, সেতু দিয়েই নদী পার হতে চায় এলাকাবাসী।
স্কুল শিক্ষার্থী সুরাইয়া বলেন, এখান (সাঁকো) দিয়ে আসার পথে আমাদের অনেক ভয় লাগে। বন্যায় এখানে অনেক পানি ওঠে। আমরা স্কুলে যাতায়াত করতে পারি না। আমাদের অনেক সমস্যা হয়। আমরা ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো বাদ দিয়ে নতুন একটি ব্রিজ চাই।
পাড়া ভাবকপাড়া গ্রামের কৃষক আকতার হোসেন বলেন, আমরা কৃষকরা সেই পার থেকে এই পারে আসতে কষ্ট হইতেছে। প্রতিদিন দুই তিন বার করে আসাযাওয়া করা লাগে। মালামাল, তরকারি নিয়ে আসা লাগে।
আলীশ্বর গ্রামের কৃষক আবদুস ছাত্তার বলেন, এই সাঁকোটা দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে চলতেছে। এই পাড়ে দ্বীনিয়া মাদরাসা, সেই পাড়ে ফকিরের ছিলা (মাজার)। এই মাদ্রাসার কমপক্ষে ৭০-৮০ জন শিশু শিক্ষার্থী এটা দিয়ে আসা যাওয়া করে। কোনো কোনো সময় ছোট বাচ্চা পোলাপাইন পানিতে পড়ে যায়। আমরা এসে পানি থেকে তুলে দেই। পাশের বাড়ির লোকজন চিৎকার শুনে এসে তুলে দেয়। কয়েকটা পোলাপাইন পড়ে গেছিল। এই সরকারের কাছে অনুরোধ ৮-১০টা গ্রামের মানুষ এই সাঁকোতে চলাচল করে। সরকার যেন এখানে একটা ব্রিজ করে দেয়।
আলীশ্বর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিদ্বার্থ সিংহ বলেন, আলীশ্বর-শিকারীপাড়ায় ডাকাতিয়া নদীতে বাঁশের সাঁেকাটি শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। আমাদের অনেক ছাত্রছাত্রী এটা দিয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করে। শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সুবিধার্থে সেখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা প্রয়োজন। ব্রিজটি নির্মিত হলে শিক্ষার্থীরা নিরাপদে আসা যাওয়া করতে পারবে। আর আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যাও আরো বাড়বে।
লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিমাদ্রী খীসা বলেন, পাড়া ভাবকপাড়া ও শিকারীপাড়ার মানুষ বাঁশের সাঁকো হয়ে ডাকাতিয়া নদী পার হয়ে আলীশ্বরে আসে। সেখানে কোনো ব্রিজ নেই। এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে আমরা সেখানে এলজিইডি বা সরকারের অন্য কোন দপ্তরের মাধ্যমে একটি সেতু নির্মাণ করার উদ্যোগ নেব।
নির্বাচন আসলে প্রতিশ্রুতিও আসে। ভোটের পরে জনপ্রতিনিধিরা উন্নয়নের এসব প্রতিশ্রুতি মনে রাখেন না। বিভিন্ন অজুহাতে এড়িয়ে যান। বার বার এমন প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হলেও দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে ডাকাতিয়া নদীর ওপরে একটি সেতুর স্বপ্ন দেখে আসছেন কুমিল্লার লালমাই উপজেলার আলীশ্বর, শিকারীপাড়া ও পাড়া ভাবকপাড়ার ৫ সহস্রাধিক মানুষ।
বাঁশের তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ একটি সাঁকো দিয়েই চলছে তাদের নদী পারাপার। গ্রীষ্মে কিছুটা নিরাপদ হলেও বর্ষায় নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে এই সাঁকো পারাপার। ভয় আতঙ্ক নিয়েই শিক্ষার্থীরা স্কুল মাদ্রাসায় যায়।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ডাকাতিয়া নদীর পূর্ব পাড়ে উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়নের আলীশ্বর এবং পশ্চিম পাড়ে বাকই উত্তর ইউনিয়নের শিকারীপাড়া ও পাড়া ভাবকপাড়া গ্রামটি অবস্থিত। পশ্চিম পাড়ের দুই গ্রামের শিক্ষার্থীদের নদী পার হয়ে পূর্বপাড়ের আলীশ্বর দ্বীনিয়া মাদরাসা, আলীশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আলীশ্বর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়তে যেতে হয়। দৈনন্দিন হাট-বাজার, চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল ও সরকারি প্রয়োজনে জেলা-উপজেলায় যেতে হলেও এলাকাবাসীর এই সাঁকোই একমাত্র ভরসা। এছাড়া পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত ‘শাহ আলীর মাজারে’ মানত করতে আসা মানুষদেরও নদী পার হতে হয়। প্রতি বছর ওরশের রাতে পূর্ব পাড়ের ৭-৮ গ্রামের ১০ সহস্রাধিক মানুষ এই সাঁকো বেয়েই মাজারে যায়। তিন গ্রামের মানুষ প্রতি বছর চাঁদা তুলে নতুন বাঁশ দিয়ে প্রায় ১শ ফুটের সাঁকোটি মেরামত করে আসছে। আগামী বছর বাঁশের সাঁকো নয়, সেতু দিয়েই নদী পার হতে চায় এলাকাবাসী।
স্কুল শিক্ষার্থী সুরাইয়া বলেন, এখান (সাঁকো) দিয়ে আসার পথে আমাদের অনেক ভয় লাগে। বন্যায় এখানে অনেক পানি ওঠে। আমরা স্কুলে যাতায়াত করতে পারি না। আমাদের অনেক সমস্যা হয়। আমরা ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো বাদ দিয়ে নতুন একটি ব্রিজ চাই।
পাড়া ভাবকপাড়া গ্রামের কৃষক আকতার হোসেন বলেন, আমরা কৃষকরা সেই পার থেকে এই পারে আসতে কষ্ট হইতেছে। প্রতিদিন দুই তিন বার করে আসাযাওয়া করা লাগে। মালামাল, তরকারি নিয়ে আসা লাগে।
আলীশ্বর গ্রামের কৃষক আবদুস ছাত্তার বলেন, এই সাঁকোটা দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে চলতেছে। এই পাড়ে দ্বীনিয়া মাদরাসা, সেই পাড়ে ফকিরের ছিলা (মাজার)। এই মাদ্রাসার কমপক্ষে ৭০-৮০ জন শিশু শিক্ষার্থী এটা দিয়ে আসা যাওয়া করে। কোনো কোনো সময় ছোট বাচ্চা পোলাপাইন পানিতে পড়ে যায়। আমরা এসে পানি থেকে তুলে দেই। পাশের বাড়ির লোকজন চিৎকার শুনে এসে তুলে দেয়। কয়েকটা পোলাপাইন পড়ে গেছিল। এই সরকারের কাছে অনুরোধ ৮-১০টা গ্রামের মানুষ এই সাঁকোতে চলাচল করে। সরকার যেন এখানে একটা ব্রিজ করে দেয়।
আলীশ্বর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিদ্বার্থ সিংহ বলেন, আলীশ্বর-শিকারীপাড়ায় ডাকাতিয়া নদীতে বাঁশের সাঁেকাটি শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। আমাদের অনেক ছাত্রছাত্রী এটা দিয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করে। শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সুবিধার্থে সেখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা প্রয়োজন। ব্রিজটি নির্মিত হলে শিক্ষার্থীরা নিরাপদে আসা যাওয়া করতে পারবে। আর আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যাও আরো বাড়বে।
লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিমাদ্রী খীসা বলেন, পাড়া ভাবকপাড়া ও শিকারীপাড়ার মানুষ বাঁশের সাঁকো হয়ে ডাকাতিয়া নদী পার হয়ে আলীশ্বরে আসে। সেখানে কোনো ব্রিজ নেই। এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে আমরা সেখানে এলজিইডি বা সরকারের অন্য কোন দপ্তরের মাধ্যমে একটি সেতু নির্মাণ করার উদ্যোগ নেব।