হোমনা প্রতিনিধি
কুমিলার হোমনায় একটি পুরনো কালভার্ট সংস্কার না করেই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে দুলালপুর থেকে রামকৃষ্ণপুর সড়ক। অল্পদিনেই কালভার্টটি ভেঙে মাঝপথে সৃষ্টি হয়েছে দুর্ভোগ। ভাঙা স্থানে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। এ সড়কটি উপজেলার পূর্বাঞ্চলের পঞ্চাশ হাজার জনগোষ্ঠীর চলচলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি যোগাযোগ ব্যবস্থা।
জানা গেছে, সড়কটির ভাঙা কালভার্টটি দৌলতপুর মোল্লা বাড়ির শামীম মিয়ার বাড়ির পাশে অবস্থিত। উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি ৮ কোটি ৪৩ লাখ ৫২ হাজার টাকা ব্যয়ে হোমনা উপজেলার দুলালপুর থেকে রামকৃষ্ণপুর পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ ও পাঁচ মিটার প্রশস্ত এই সড়কের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হয়। গত বছরের ২৫ মার্চ এই সড়কের নির্মাণকাজ শুরু হয়ে এবছর ৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ কালভার্টটি বহু বছর আগে নির্মিত হয়েছিল। সে সময় গ্রামের নালা ও দুই পাশের ফসলি জমি চাষাবাদের জন্য এটি ছিল অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কালক্রমে এ সড়ক সম্প্রসারণ ও উঁচুকরণে সংস্কার এবং আশে পাশে বাড়িঘর উঠে যাওয়ায় বর্তমানে এর দুই পাশ ভরাট হয়ে গেছে। ফলে কালভার্টের ভেতর দিয়ে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে বহু আগেই। অথচ সড়কটি নির্মাণের আগে এটি অপসারণ বা সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। কয়েকদিন আগে কালভার্টটির ওপরের স্ল্যাবের অংশবিশেষ ভেঙে পড়েছে, যার ফলে কয়েকটি ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটেছে। বিষয়টি সম্পর্কে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর অবগত হয়েছেন।
স্থানীয় এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, অল্পকিছুদিন আগেই রাস্তাটি হয়েছে। এরই মধ্যে রাস্তার মাঝখানের এই ব্রিজটি ভেঙ্গে গেছে। এখানে সিএনজি ও অটোরিকশার কয়েকটি দুর্ঘটনাও ঘটেছে।
লিটন মোল্লা নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, রাস্তা নির্মাণের আগেই অনেক পুরোনো এই কালভার্টটি ভেঙ্গে ভরাট করার প্রয়োজন ছিল অথবা সংস্কার করার প্রয়োজন ছিল। তা না করায় রাস্তা হওয়ার পরে যানবাহন চলাচল বেড়ে গেছে। ফলে অনেক পুরোনো এই কালভার্টটি ভেঙ্গে গেছে। এখানে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনাও ঘটেছে।
মো. খোকন নামে আরেক সিএনজি চালক জানান, দৌলতপুরে রাস্তার মাঝখানের এই ব্রিজটি অনেক পুরাতন। রাস্তাটিও অনেক ভাঙাচোড়া ছিল। এখন রাস্তাটি মেরামত করায় অনেক সুবিধা হয়েছে। গাড়ির চাপও বেড়ে গেছে। ছোট গাড়ির পাশাপাশি বড় ট্রাক, ট্রাক্টর চলাচল করে। ফলে এতো লোড নিতে না পারায় পুরাতন এই ব্রিজটি ভেঙে গেছে। দ্রুত এটি মেরামত করা জরুরি।
দুলালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জসীম উদ্দিন সওদাগর বলেন, হোমনা রামচন্দ্রপুর সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর ওপর বহু পুরোনো এই কালভার্টটি ভেঙ্গে মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছিল। ইউএনও মহোদয়কে জানিয়েছি। পরে প্রাথমিকভাবে ভাঙা জায়গাটি বালু দিয়ে ভরাট করে দিয়েছি। এখন মোটামুটি যানবাহন চলতে পারছে।
উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ মো. মেহেদী হাসান বলেন, যেহেতু, কালভার্টটি বর্তমানে সচল নেই। পানি চলাচল করেনা। এর দুপাশেই মাটি ভরাট হয়ে গেছে এবং কালভার্টের টপ স্ল্যাব আপতদৃষ্টে ভালো মনে হওয়ায় সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যেহেতু, বর্তমানে স্ল্যাবটির কিছু অংশ ভেঙে গেছে, তাই দ্রুতই মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
কুমিলার হোমনায় একটি পুরনো কালভার্ট সংস্কার না করেই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে দুলালপুর থেকে রামকৃষ্ণপুর সড়ক। অল্পদিনেই কালভার্টটি ভেঙে মাঝপথে সৃষ্টি হয়েছে দুর্ভোগ। ভাঙা স্থানে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। এ সড়কটি উপজেলার পূর্বাঞ্চলের পঞ্চাশ হাজার জনগোষ্ঠীর চলচলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি যোগাযোগ ব্যবস্থা।
জানা গেছে, সড়কটির ভাঙা কালভার্টটি দৌলতপুর মোল্লা বাড়ির শামীম মিয়ার বাড়ির পাশে অবস্থিত। উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি ৮ কোটি ৪৩ লাখ ৫২ হাজার টাকা ব্যয়ে হোমনা উপজেলার দুলালপুর থেকে রামকৃষ্ণপুর পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ ও পাঁচ মিটার প্রশস্ত এই সড়কের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হয়। গত বছরের ২৫ মার্চ এই সড়কের নির্মাণকাজ শুরু হয়ে এবছর ৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ কালভার্টটি বহু বছর আগে নির্মিত হয়েছিল। সে সময় গ্রামের নালা ও দুই পাশের ফসলি জমি চাষাবাদের জন্য এটি ছিল অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কালক্রমে এ সড়ক সম্প্রসারণ ও উঁচুকরণে সংস্কার এবং আশে পাশে বাড়িঘর উঠে যাওয়ায় বর্তমানে এর দুই পাশ ভরাট হয়ে গেছে। ফলে কালভার্টের ভেতর দিয়ে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে বহু আগেই। অথচ সড়কটি নির্মাণের আগে এটি অপসারণ বা সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। কয়েকদিন আগে কালভার্টটির ওপরের স্ল্যাবের অংশবিশেষ ভেঙে পড়েছে, যার ফলে কয়েকটি ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটেছে। বিষয়টি সম্পর্কে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর অবগত হয়েছেন।
স্থানীয় এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, অল্পকিছুদিন আগেই রাস্তাটি হয়েছে। এরই মধ্যে রাস্তার মাঝখানের এই ব্রিজটি ভেঙ্গে গেছে। এখানে সিএনজি ও অটোরিকশার কয়েকটি দুর্ঘটনাও ঘটেছে।
লিটন মোল্লা নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, রাস্তা নির্মাণের আগেই অনেক পুরোনো এই কালভার্টটি ভেঙ্গে ভরাট করার প্রয়োজন ছিল অথবা সংস্কার করার প্রয়োজন ছিল। তা না করায় রাস্তা হওয়ার পরে যানবাহন চলাচল বেড়ে গেছে। ফলে অনেক পুরোনো এই কালভার্টটি ভেঙ্গে গেছে। এখানে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনাও ঘটেছে।
মো. খোকন নামে আরেক সিএনজি চালক জানান, দৌলতপুরে রাস্তার মাঝখানের এই ব্রিজটি অনেক পুরাতন। রাস্তাটিও অনেক ভাঙাচোড়া ছিল। এখন রাস্তাটি মেরামত করায় অনেক সুবিধা হয়েছে। গাড়ির চাপও বেড়ে গেছে। ছোট গাড়ির পাশাপাশি বড় ট্রাক, ট্রাক্টর চলাচল করে। ফলে এতো লোড নিতে না পারায় পুরাতন এই ব্রিজটি ভেঙে গেছে। দ্রুত এটি মেরামত করা জরুরি।
দুলালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জসীম উদ্দিন সওদাগর বলেন, হোমনা রামচন্দ্রপুর সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর ওপর বহু পুরোনো এই কালভার্টটি ভেঙ্গে মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছিল। ইউএনও মহোদয়কে জানিয়েছি। পরে প্রাথমিকভাবে ভাঙা জায়গাটি বালু দিয়ে ভরাট করে দিয়েছি। এখন মোটামুটি যানবাহন চলতে পারছে।
উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ মো. মেহেদী হাসান বলেন, যেহেতু, কালভার্টটি বর্তমানে সচল নেই। পানি চলাচল করেনা। এর দুপাশেই মাটি ভরাট হয়ে গেছে এবং কালভার্টের টপ স্ল্যাব আপতদৃষ্টে ভালো মনে হওয়ায় সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যেহেতু, বর্তমানে স্ল্যাবটির কিছু অংশ ভেঙে গেছে, তাই দ্রুতই মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।