কোম্পানীগঞ্জ বাস টার্মিনাল
এবিএম আতিকুর রহমান বাশার
কুমিল্লার কোম্পানীগঞ্জ বাস টার্মিনালে আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদা দাবিকে কেন্দ্র করে দেবীদ্বার ও মুরাদনগরের দুইপক্ষের মধ্যে দিনভর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ৩টি বাস কাউন্টার ও ২০ টি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ সময় অন্তত ১২ জন আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার জুমার নামাজ চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে দেবীদ্বার ও মুরাদনগর থানা পুলিশ এবং সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। রাত ৮ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উভয় ঘটনাস্থলে থমথমে বিরাজ করছে বলে জানা যায়।
স্থানীয়রা জানান, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাস টার্মিনালের ফারজানা কাউন্টারের পরিচালক দেবীদ্বার পৌর এলাকার ভিংলাবাড়ি গ্রামের মো. ইসমাইলের পুত্র আল আমিনের কাছে মুরাদনগর উপজেলার বাখরনগর গ্রামের কিছু সশস্ত্র ব্যক্তি বাস কাউন্টার চালাতে হলে তাদের মাসে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দেওয়ার দাবি জানান। আল আমিন চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় দুই শতাধিক সশস্ত্র লোক হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় এক রণক্ষেত্র তৈরি হয়। সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে দুইপক্ষ ভাগ হয়ে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কোম্পানীগঞ্জ গোমতী নদীর ব্রিজের দক্ষিণপাড়ে দেবীদ্বার উপজেলার ভিংলাবাড়ি গ্রামের লোকজন এবং গোমতী ব্রিজের উত্তরপাড়ে মুরাদনগর উপজেলার বাখরনগর গ্রামের লোকজন অবস্থান নেয়।
এ সময় বাখরনগরের সশস্ত্র হামলাকারীরা কোম্পানীগঞ্জ বাস টার্মিনাল ও বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাস কাউন্টার ও বাজারের দোকানপাটে হামলা, ভাঙচুর ও গণলুটপাট চালায়। হামলাকারীরা ফারজানা বাস কাউন্টার, ফারহানা বাস কাউন্টার, হানিফ বাস কাউন্টারসহ বেশ কয়েকটি বাস কাউন্টার ভাঙচুর এবং কোম্পানীগঞ্জ বাজারের অন্তত ২০টি দোকান লুটপাট ও ভাঙচুর করে।
ফারজানা কাউন্টারের পরিচালক আল আমিন জানান, আমাদের ফারজানা বাস কাউন্টারের অধীনে ৯৩৮ জন শ্রমিক রয়েছেন। আমি তা নিয়ন্ত্রণ করি। গত বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টায় বাখরনগর গ্রামের ২০-২৫ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাস কাউন্টারে এসে আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন বাস কাউন্টার চালাতে হলে তাদের মাসে ৫০ হাজার টাকা করে চাঁদা দিতে হবে। নাহয় কাউন্টার চালাতে পারব না। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে বেধড়ক মারধর করে। আমাকে বাঁচাতে আসা কয়েকজন শ্রমিকও তাদের মারধরের শিকার হন। আমি দৌড়ে পালিয়ে জীবন বাঁচাই। শুক্রবার সকালে মুরাদনগর থানায় বাখরনগর গ্রামের মো. সোহেল(৩০), নাঈম(২৫), উজ্জল(৩০), রাজামিয়া(২৬) ও শ্যাম্পুসহ (২৮) ১১ জনকে এজহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগপত্র থানায় জমা দেই। ওই ঘটনায় জুমার নামাজের সময় ২-৩শ সশস্ত্র সন্ত্রাসী অতর্কিত হামালা ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। আমার কাউন্টারে রক্ষিত ৩০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
কোম্পানীগঞ্জ সাফল্য বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, বাখরনগর গ্রামের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সাফল্য বহুমুখী সমবায় সমিতির কার্যালয় ভেঙে নগদ ৫ লাখ টাকা লুট ও গুরুত্বপূর্ণ ফাইল কাগজপত্র নিয়ে যায়। কোম্পানীগঞ্জ বাস টার্মিনালের বিভিন্ন পরিবহনের অধিকাংশ গাড়ির মালিক দেবীদ্বার ভিংলা বাড়ি গ্রামের। এছাড়াও ঐতিহ্যবাহী কোম্পানীগঞ্জ বাজারের অধিকাংশ ব্যবসায়ী দেবীদ্বারের। তাই বাখরনগরের সশস্ত্র হামলাকারীরা বাস কাউন্টার, বাজারের দোকানপাঠ ভাঙচুরসহ লক্ষ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।
এ ঘটনায় বাখরনগর গ্রামের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ব্যপারে দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, বাস টার্মিনালের আধিপত্য ও চাঁদাবাজি নিয়ে দেবীদ্বারের ভিংলাবাড়ি ও মুরাদনগরের বাখরনগরের লোকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান জানান, সামান্য ঘটনা নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। শনিবার উভয়পক্ষকে ডেকে এনে সৃষ্ট ঘটনার মীমাংসার উদ্যোগ নেব।
কুমিল্লার কোম্পানীগঞ্জ বাস টার্মিনালে আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদা দাবিকে কেন্দ্র করে দেবীদ্বার ও মুরাদনগরের দুইপক্ষের মধ্যে দিনভর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ৩টি বাস কাউন্টার ও ২০ টি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ সময় অন্তত ১২ জন আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার জুমার নামাজ চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে দেবীদ্বার ও মুরাদনগর থানা পুলিশ এবং সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। রাত ৮ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উভয় ঘটনাস্থলে থমথমে বিরাজ করছে বলে জানা যায়।
স্থানীয়রা জানান, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাস টার্মিনালের ফারজানা কাউন্টারের পরিচালক দেবীদ্বার পৌর এলাকার ভিংলাবাড়ি গ্রামের মো. ইসমাইলের পুত্র আল আমিনের কাছে মুরাদনগর উপজেলার বাখরনগর গ্রামের কিছু সশস্ত্র ব্যক্তি বাস কাউন্টার চালাতে হলে তাদের মাসে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দেওয়ার দাবি জানান। আল আমিন চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় দুই শতাধিক সশস্ত্র লোক হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় এক রণক্ষেত্র তৈরি হয়। সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে দুইপক্ষ ভাগ হয়ে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কোম্পানীগঞ্জ গোমতী নদীর ব্রিজের দক্ষিণপাড়ে দেবীদ্বার উপজেলার ভিংলাবাড়ি গ্রামের লোকজন এবং গোমতী ব্রিজের উত্তরপাড়ে মুরাদনগর উপজেলার বাখরনগর গ্রামের লোকজন অবস্থান নেয়।
এ সময় বাখরনগরের সশস্ত্র হামলাকারীরা কোম্পানীগঞ্জ বাস টার্মিনাল ও বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাস কাউন্টার ও বাজারের দোকানপাটে হামলা, ভাঙচুর ও গণলুটপাট চালায়। হামলাকারীরা ফারজানা বাস কাউন্টার, ফারহানা বাস কাউন্টার, হানিফ বাস কাউন্টারসহ বেশ কয়েকটি বাস কাউন্টার ভাঙচুর এবং কোম্পানীগঞ্জ বাজারের অন্তত ২০টি দোকান লুটপাট ও ভাঙচুর করে।
ফারজানা কাউন্টারের পরিচালক আল আমিন জানান, আমাদের ফারজানা বাস কাউন্টারের অধীনে ৯৩৮ জন শ্রমিক রয়েছেন। আমি তা নিয়ন্ত্রণ করি। গত বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টায় বাখরনগর গ্রামের ২০-২৫ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাস কাউন্টারে এসে আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন বাস কাউন্টার চালাতে হলে তাদের মাসে ৫০ হাজার টাকা করে চাঁদা দিতে হবে। নাহয় কাউন্টার চালাতে পারব না। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে বেধড়ক মারধর করে। আমাকে বাঁচাতে আসা কয়েকজন শ্রমিকও তাদের মারধরের শিকার হন। আমি দৌড়ে পালিয়ে জীবন বাঁচাই। শুক্রবার সকালে মুরাদনগর থানায় বাখরনগর গ্রামের মো. সোহেল(৩০), নাঈম(২৫), উজ্জল(৩০), রাজামিয়া(২৬) ও শ্যাম্পুসহ (২৮) ১১ জনকে এজহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগপত্র থানায় জমা দেই। ওই ঘটনায় জুমার নামাজের সময় ২-৩শ সশস্ত্র সন্ত্রাসী অতর্কিত হামালা ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। আমার কাউন্টারে রক্ষিত ৩০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
কোম্পানীগঞ্জ সাফল্য বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, বাখরনগর গ্রামের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সাফল্য বহুমুখী সমবায় সমিতির কার্যালয় ভেঙে নগদ ৫ লাখ টাকা লুট ও গুরুত্বপূর্ণ ফাইল কাগজপত্র নিয়ে যায়। কোম্পানীগঞ্জ বাস টার্মিনালের বিভিন্ন পরিবহনের অধিকাংশ গাড়ির মালিক দেবীদ্বার ভিংলা বাড়ি গ্রামের। এছাড়াও ঐতিহ্যবাহী কোম্পানীগঞ্জ বাজারের অধিকাংশ ব্যবসায়ী দেবীদ্বারের। তাই বাখরনগরের সশস্ত্র হামলাকারীরা বাস কাউন্টার, বাজারের দোকানপাঠ ভাঙচুরসহ লক্ষ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।
এ ঘটনায় বাখরনগর গ্রামের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ব্যপারে দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, বাস টার্মিনালের আধিপত্য ও চাঁদাবাজি নিয়ে দেবীদ্বারের ভিংলাবাড়ি ও মুরাদনগরের বাখরনগরের লোকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান জানান, সামান্য ঘটনা নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। শনিবার উভয়পক্ষকে ডেকে এনে সৃষ্ট ঘটনার মীমাংসার উদ্যোগ নেব।