দেবীদ্বার প্রতিনিধি
কুমিল্লার দেবীদ্বারে সড়ক দূর্ঘটনায় কেড়ে নিল এইচএসসি পরীক্ষার্থী মোসাম্মৎ জান্নাতুল রাখী’র স্বপ্ন।
গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় বাড়ি থেকে অটোরিক্সা যোগে দেবীদ্বার সুজাত আলী সরকারী কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আসার সময় কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দেবীদ্বার মাটিয়া মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় সড়ক দূর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন।
মোসাম্মৎ জান্নাতুল রাখী দেবীদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের ভিড়াল্লা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে। সে জাফরগঞ্জ মীর আব্দুল গফুর কলেজ থেকে মানবিক শাখায় এইচএসসি পরীক্ষার্থী। আজ ছিল আইসিটি বিষয়ের পরীক্ষা।
প্রত্যদর্শিরা জানান, দেবীদ্বার নিউমার্কেট মাটিয়া মসজিদ সংলগ্নে আসার পর পেছন থেকে আসা একটি দ্রুতগামী সিএনজি এসে রাখীকে বহনকারী অটোরিক্সাকে সজোরে ধাক্কামারে। এসময় রাখী অটো রিক্সা থেকে ছিটকে পড়ে শরিরের ভিভিন্ন অংশ থেতলে ও ছিলে যায়, ডান পায়ের গোড়ালির হাড় ফেটে যায়। তাকে দ্রুত দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে একটি প্রাইভেট তাকে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শরিরের বিভিন্ন থেতলে ও ছিলে যাওয়া অংশগুলো ওয়াস ও সেলাই করা হয়। ডান পায়ের ফেটে যাওয়া গোড়ালি ব্যান্ডেজ করা হয়।
রাখী এ অবস্থা নিয়েই পরীক্ষা দেয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন। তিনি জানান, পূর্বে দেয়া তার পরীক্ষাগুলো ভালো হয়েছে। আজকের পরীক্ষাটা না দিতে পারলে তার অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছার স্বপ্ন ভেঙ্গে যাবে। এ সময়ের মধ্যে এমসিকিউ পরীক্ষা শেষ হয়েগেছে। পরীক্ষার কেন্দ্রে যেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলেও নিজ হাতে লেখার সুযোগ ছিলনা। ডান হাতের আঙ্গুলগুলোও ছিলে গেছে। বর্তমানে শ্রুতী পরীক্ষার নেয়ারও সুযোগ নেই। নিজের শ্রুতি শ্রবণে অন্যের হাতে লিখার নিয়মও শিক্ষামন্ত্রনালয় বাতিল করে দিয়েছে। রাখীর মা’ পারভীন আক্তারও মেয়েকে এ অবস্থায় পরীক্ষায় অংশ নিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করায় রাখীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে পরীক্ষায় অংশ নেয়া থেকে বঞ্চিত হল।
এ ব্যপারে দেবীদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খাঁন সড়ক দূর্ঘটনায় এইচএসসি পরীক্ষার্থী আহত হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, তাকে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ করে দেয়া যেত, যেহেতু সে নিজ হাতে লিখে পরীক্ষা দিতে পাবেনা এবং শ্রুতী পরীক্ষার নিয়ম না থাকায় তার পরীক্ষায় অংশ নেয়ায় বিকল্প কোন সুযোগ নেই।
কুমিল্লার দেবীদ্বারে সড়ক দূর্ঘটনায় কেড়ে নিল এইচএসসি পরীক্ষার্থী মোসাম্মৎ জান্নাতুল রাখী’র স্বপ্ন।
গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় বাড়ি থেকে অটোরিক্সা যোগে দেবীদ্বার সুজাত আলী সরকারী কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আসার সময় কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দেবীদ্বার মাটিয়া মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় সড়ক দূর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন।
মোসাম্মৎ জান্নাতুল রাখী দেবীদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের ভিড়াল্লা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে। সে জাফরগঞ্জ মীর আব্দুল গফুর কলেজ থেকে মানবিক শাখায় এইচএসসি পরীক্ষার্থী। আজ ছিল আইসিটি বিষয়ের পরীক্ষা।
প্রত্যদর্শিরা জানান, দেবীদ্বার নিউমার্কেট মাটিয়া মসজিদ সংলগ্নে আসার পর পেছন থেকে আসা একটি দ্রুতগামী সিএনজি এসে রাখীকে বহনকারী অটোরিক্সাকে সজোরে ধাক্কামারে। এসময় রাখী অটো রিক্সা থেকে ছিটকে পড়ে শরিরের ভিভিন্ন অংশ থেতলে ও ছিলে যায়, ডান পায়ের গোড়ালির হাড় ফেটে যায়। তাকে দ্রুত দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে একটি প্রাইভেট তাকে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শরিরের বিভিন্ন থেতলে ও ছিলে যাওয়া অংশগুলো ওয়াস ও সেলাই করা হয়। ডান পায়ের ফেটে যাওয়া গোড়ালি ব্যান্ডেজ করা হয়।
রাখী এ অবস্থা নিয়েই পরীক্ষা দেয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন। তিনি জানান, পূর্বে দেয়া তার পরীক্ষাগুলো ভালো হয়েছে। আজকের পরীক্ষাটা না দিতে পারলে তার অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছার স্বপ্ন ভেঙ্গে যাবে। এ সময়ের মধ্যে এমসিকিউ পরীক্ষা শেষ হয়েগেছে। পরীক্ষার কেন্দ্রে যেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলেও নিজ হাতে লেখার সুযোগ ছিলনা। ডান হাতের আঙ্গুলগুলোও ছিলে গেছে। বর্তমানে শ্রুতী পরীক্ষার নেয়ারও সুযোগ নেই। নিজের শ্রুতি শ্রবণে অন্যের হাতে লিখার নিয়মও শিক্ষামন্ত্রনালয় বাতিল করে দিয়েছে। রাখীর মা’ পারভীন আক্তারও মেয়েকে এ অবস্থায় পরীক্ষায় অংশ নিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করায় রাখীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে পরীক্ষায় অংশ নেয়া থেকে বঞ্চিত হল।
এ ব্যপারে দেবীদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খাঁন সড়ক দূর্ঘটনায় এইচএসসি পরীক্ষার্থী আহত হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, তাকে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ করে দেয়া যেত, যেহেতু সে নিজ হাতে লিখে পরীক্ষা দিতে পাবেনা এবং শ্রুতী পরীক্ষার নিয়ম না থাকায় তার পরীক্ষায় অংশ নেয়ায় বিকল্প কোন সুযোগ নেই।