চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি
গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে খাল বিলে চারিদিকে পানি বেড়ে যাওয়ায় হতাশায় দিন কাটছে কৃষক, পোল্ট্রি ও মৎস্য চাষীদের।
গত বছর আমন রোপন করতে না পারা কৃষকরা আষাঢ় মাসের শুরুতে বীজ রোপন করেছেন। কিন্তু অনেক বীজতলা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় অনিশ্চয়তায় আছেন কৃষকরা। এরই মধ্যে চলতি বর্ষায় আবার বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যার ফলে এবার একটু ভারী বৃষ্টিতেই আতঙ্কিত হচ্ছেন মানুষ। তবে সম্ভাব্য বন্যার আশঙ্কা থেকে এবার উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে মাঠে সরব রয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জামাল হোসেনের নেতৃত্বে উপজেলা ও পৌর প্রশাসন।
জানা গেছে, এবার বর্ষার শুরুতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রশাসক মোঃ জামাল হোসেনের উদ্যোগে বন্যার আশঙ্কায় পানির প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে পৌর এলাকায় বালুজুরি, মিতল্লা ও সর্পনোলা খাল খনন ও পরিষ্কার অভিযান পরিচালনা করেন। শুরুতেই এমন কার্যক্রমে আশার আলো দেখছেন পৌর এলাকার ২৬ গ্রামের বাসিন্দারা। উপজেলাজুড়ে সেবা দিতে গঠন করা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক টিম। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যানুযায়ী, গত বছরের বন্যায় উপজেলার অনেক কৃষক আমন রোপন করতে পারেনি। এ বছর আমন রোপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১৮,১৯০ হেক্টর। এ বছর ভারী বৃষ্টি না হলে কৃষকরা গত বছরের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ছয় হাজার কৃষককে প্রণোদনার আওতায় প্রত্যেককে পাঁচ কেজি করে বীজ ধান, বিশ কেজি সার প্রদান করে।
উপজেলা প্রাণী সম্পদের দেয়া তথ্যমতে, পোল্ট্রি খামারিদের সহায়তা হিসেবে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গত বছরের বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে অনেক পোল্ট্রি খামারিকে প্রনোদনা ও ৬৫ জন খামারিকে মুরগী প্রদান করা হয়েছে। তবে শতভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মৎস চাষীরা। বন্যার সময় মৎস ও পানিসম্পদ উপদেষ্টা বন্যা কবলিত চৌদ্দগ্রাম পরিদর্শনকালে ক্ষতিগ্রস্ততের সহায়তার আশ্বাসের বিপরীতে উপজেলা মৎস ও পানিসম্পদ অফিস ১০০ জন মৎস চাষীকে ১০ কেজি করে মাছেন পোনা বিতরণ করে। যেখানে ক্ষতির পরিমাণ ১১১ কোটিরও বেশি। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এখনো অনেক খামারীর জলাশয় ও পুকুর খালি পড়ে আছে।
উপজেলা আলকরা ইউনিয়নের বান্দেরজলা গ্রামের পোল্ট্রি ব্যবসায়ী কাউসার আলম বলেন, এবারের বর্ষায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তাতে আমরা হতাশায় আছি। অতি বৃষ্টির ফলে পোল্ট্রি শিল্পের ক্ষতির আশঙ্কা আছে।
উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়ন বারাইশ গ্রামের মৎস্য চাষী শহীদ মিয়া বলেন, চলতি বছরে বর্ষায় যেভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে লক্ষণ ভালো দেখাচ্ছে না। গত বারের বন্যায় আমার অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ বছর আমার তিনটি পুকুর খালি পড়ে আছে, বন্যার আশঙ্কায় রেনু পোনা মাছ ছাড়িনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জামাল হোসেন বলেন, ‘বন্যার আশঙ্কায় পানি প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে গত মাসেই তিনটি খাল খনন ও পরিস্কার করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি’।
গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে খাল বিলে চারিদিকে পানি বেড়ে যাওয়ায় হতাশায় দিন কাটছে কৃষক, পোল্ট্রি ও মৎস্য চাষীদের।
গত বছর আমন রোপন করতে না পারা কৃষকরা আষাঢ় মাসের শুরুতে বীজ রোপন করেছেন। কিন্তু অনেক বীজতলা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় অনিশ্চয়তায় আছেন কৃষকরা। এরই মধ্যে চলতি বর্ষায় আবার বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যার ফলে এবার একটু ভারী বৃষ্টিতেই আতঙ্কিত হচ্ছেন মানুষ। তবে সম্ভাব্য বন্যার আশঙ্কা থেকে এবার উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে মাঠে সরব রয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জামাল হোসেনের নেতৃত্বে উপজেলা ও পৌর প্রশাসন।
জানা গেছে, এবার বর্ষার শুরুতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রশাসক মোঃ জামাল হোসেনের উদ্যোগে বন্যার আশঙ্কায় পানির প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে পৌর এলাকায় বালুজুরি, মিতল্লা ও সর্পনোলা খাল খনন ও পরিষ্কার অভিযান পরিচালনা করেন। শুরুতেই এমন কার্যক্রমে আশার আলো দেখছেন পৌর এলাকার ২৬ গ্রামের বাসিন্দারা। উপজেলাজুড়ে সেবা দিতে গঠন করা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক টিম। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যানুযায়ী, গত বছরের বন্যায় উপজেলার অনেক কৃষক আমন রোপন করতে পারেনি। এ বছর আমন রোপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১৮,১৯০ হেক্টর। এ বছর ভারী বৃষ্টি না হলে কৃষকরা গত বছরের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ছয় হাজার কৃষককে প্রণোদনার আওতায় প্রত্যেককে পাঁচ কেজি করে বীজ ধান, বিশ কেজি সার প্রদান করে।
উপজেলা প্রাণী সম্পদের দেয়া তথ্যমতে, পোল্ট্রি খামারিদের সহায়তা হিসেবে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গত বছরের বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে অনেক পোল্ট্রি খামারিকে প্রনোদনা ও ৬৫ জন খামারিকে মুরগী প্রদান করা হয়েছে। তবে শতভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মৎস চাষীরা। বন্যার সময় মৎস ও পানিসম্পদ উপদেষ্টা বন্যা কবলিত চৌদ্দগ্রাম পরিদর্শনকালে ক্ষতিগ্রস্ততের সহায়তার আশ্বাসের বিপরীতে উপজেলা মৎস ও পানিসম্পদ অফিস ১০০ জন মৎস চাষীকে ১০ কেজি করে মাছেন পোনা বিতরণ করে। যেখানে ক্ষতির পরিমাণ ১১১ কোটিরও বেশি। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এখনো অনেক খামারীর জলাশয় ও পুকুর খালি পড়ে আছে।
উপজেলা আলকরা ইউনিয়নের বান্দেরজলা গ্রামের পোল্ট্রি ব্যবসায়ী কাউসার আলম বলেন, এবারের বর্ষায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তাতে আমরা হতাশায় আছি। অতি বৃষ্টির ফলে পোল্ট্রি শিল্পের ক্ষতির আশঙ্কা আছে।
উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়ন বারাইশ গ্রামের মৎস্য চাষী শহীদ মিয়া বলেন, চলতি বছরে বর্ষায় যেভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে লক্ষণ ভালো দেখাচ্ছে না। গত বারের বন্যায় আমার অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ বছর আমার তিনটি পুকুর খালি পড়ে আছে, বন্যার আশঙ্কায় রেনু পোনা মাছ ছাড়িনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জামাল হোসেন বলেন, ‘বন্যার আশঙ্কায় পানি প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে গত মাসেই তিনটি খাল খনন ও পরিস্কার করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি’।