নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লার চান্দিনায় ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী শব্দর আলী (৪৫) আত্মহত্যায় মৃত্যু হয়নি, তাকে জমি সংক্রান্ত বিরোধে হত্যা করা হয়েছে। মৃত্যুর তিন মাস পর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী রিনা বেগম। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে চান্দিনা থানা পুলিশ। তারা হলেন- কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বরকইট গ্রামের প্রয়াত আহাম আলীর ছেলে মো. ইউনুছ মিয়া (৫২), মো. আবুল হাশেম (৪২) ও মো. কুদ্দুস মিয়া (৫৫)।
আজ শনিবার নিহতের স্ত্রী মামলার বাদী রিনা বেগম জানান, আমাদের পার্শ্ববর্তী বাড়ির ইউনুছ ও তার ভাইয়েরা জমি বন্ধক দিয়ে এক বছর মেয়াদে আমার স্বামীর কাছ থেকে তিনলাখ টাকা নেয়। মেয়াদ শেষে তারা আমাদেরকে জমি থেকে সরিয়ে দিলেও টাকা ফেরত দেয়নি। এ ঘটনায় একাধিবার ঝগড়া হয়েছে। চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল ভোরে আমার স্বামী মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করতে যায়। নামাজ শেষে তিনি বাড়ি না আসায় খোঁজাখুঁজি করি। সকালে বিবাদী ইউনুছ মিয়া আমাদেরকে জানায় আমার স্বামী বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে গাছের সাথে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। গিয়ে দেখি স্বামীর অর্ধেকেরও বেশি শরীর মাটিতে লুটে পড়ে আছে, মাথার অংশ গাছের সাথে বাঁধা। সে সময় আমরা মানসিকভাবেও চরম বিপর্যস্ত থাকায় থানায় আত্মহত্যার অভিযোগ করি। কিন্তু আমাদের ধারণা ছিল আমার স্বামীকে হত্যা করে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তিন মাস পর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে উঠে আসে আমার স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ওই রিপোর্ট হাতে পেয়ে আমি বৃহস্পতিবার রাতে ইউনুছ মিয়া, তার স্ত্রী ও তিন ভাইকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছি। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।
এ ব্যাপারে চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ উল ইসলাম জানান, ১৫ এপ্রিল বরকইট গ্রামের একটি পুকুর পাড়ের গাছের সাথে ঝুলে থাকা ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী শব্দর আলীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হওয়ার পর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। নিহতের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে উঠে আসে শব্দর আলী আত্মহত্যা করেনি, তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। আমরা শুক্রবার ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছি, বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
কুমিল্লার চান্দিনায় ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী শব্দর আলী (৪৫) আত্মহত্যায় মৃত্যু হয়নি, তাকে জমি সংক্রান্ত বিরোধে হত্যা করা হয়েছে। মৃত্যুর তিন মাস পর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী রিনা বেগম। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে চান্দিনা থানা পুলিশ। তারা হলেন- কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বরকইট গ্রামের প্রয়াত আহাম আলীর ছেলে মো. ইউনুছ মিয়া (৫২), মো. আবুল হাশেম (৪২) ও মো. কুদ্দুস মিয়া (৫৫)।
আজ শনিবার নিহতের স্ত্রী মামলার বাদী রিনা বেগম জানান, আমাদের পার্শ্ববর্তী বাড়ির ইউনুছ ও তার ভাইয়েরা জমি বন্ধক দিয়ে এক বছর মেয়াদে আমার স্বামীর কাছ থেকে তিনলাখ টাকা নেয়। মেয়াদ শেষে তারা আমাদেরকে জমি থেকে সরিয়ে দিলেও টাকা ফেরত দেয়নি। এ ঘটনায় একাধিবার ঝগড়া হয়েছে। চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল ভোরে আমার স্বামী মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করতে যায়। নামাজ শেষে তিনি বাড়ি না আসায় খোঁজাখুঁজি করি। সকালে বিবাদী ইউনুছ মিয়া আমাদেরকে জানায় আমার স্বামী বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে গাছের সাথে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। গিয়ে দেখি স্বামীর অর্ধেকেরও বেশি শরীর মাটিতে লুটে পড়ে আছে, মাথার অংশ গাছের সাথে বাঁধা। সে সময় আমরা মানসিকভাবেও চরম বিপর্যস্ত থাকায় থানায় আত্মহত্যার অভিযোগ করি। কিন্তু আমাদের ধারণা ছিল আমার স্বামীকে হত্যা করে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তিন মাস পর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে উঠে আসে আমার স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ওই রিপোর্ট হাতে পেয়ে আমি বৃহস্পতিবার রাতে ইউনুছ মিয়া, তার স্ত্রী ও তিন ভাইকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছি। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।
এ ব্যাপারে চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ উল ইসলাম জানান, ১৫ এপ্রিল বরকইট গ্রামের একটি পুকুর পাড়ের গাছের সাথে ঝুলে থাকা ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী শব্দর আলীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হওয়ার পর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। নিহতের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে উঠে আসে শব্দর আলী আত্মহত্যা করেনি, তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। আমরা শুক্রবার ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছি, বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।