আবদুল্লাহ আল মারুফ
দলে দলে ভাগ হয়ে ঘষছে হাত। মাথার ওপরে উড়ছে ধোঁয়া। কোনও দলে কিশোর আবার কোনও দলে মধ্যবয়সী পুরুষ। কোথাও আবার বৃদ্ধদেরও দেখা যায়। কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশন এবং আশপাশের এলাকায় মাদকসেবন ও বিক্রির এমন দৃশ্য যেন স্থানীয়দের চোখে সয়ে গেছে। পুলিশ ও প্রশাসনের কাছেও এটি প্রকাশ্য সত্য।
সম্প্রতি একাধিক দিনে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, কুমিল্লা স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের সামনের রেললাইনে, কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশন পুলিশ ফাঁড়ি বিপরীত পাশের প্ল্যাটফর্মে, উপসহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সামনে, ধর্মপুর রেলগেটের পার্শ্ববর্তী এলাকায়, শাসনগাছা রেলগেটের পার্শ্ববর্তী এলাকায় এবং অশোকতলা রেলগেট পার্শ্ববর্তী এলাকায় প্রতিদিন বসে মাদকসেবীদের আড্ডা। এসব আড্ডায় ঘুরে ঘুরে মাদক বিক্রি করে একটি চক্র। এসব মাদকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় গাঁজা ও ইয়াবা। অনেকে মাদক বাইরে থেকে এনে নিরাপদে সেবন করে এলাকা ছাড়ে।
স্থানীয় কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, মাদকবিক্রেতাদের কয়েকটি চক্র এই এলাকায় সক্রিয় রয়েছে। তাদের মধ্যে বহিরাগতদের পাশাপাশি স্থানীয় কয়েকজনও যুক্ত রয়েছেন। তবে মাদকবিক্রেতাদের কিছু অংশ স্থানীয় হলেও মাদকসেবীদের বেশির ভাগ অংশই বহিরাগত। অনেকেই মাদকসেবনের নিরাপদ স্থান মনে করে কুমিল্লা রেল স্টেশন এবং আশপাশের এলাকাগুলো বেছে নেয়। তবে এসব ঘটনার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিভিন্ন কিশোর গ্যাং জড়িত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদকসেবীদের কয়েকজন জানান, সীমান্ত থেকে বড় চোরাচালান শহরে প্রবেশ করে। অনেক সময় তা বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় আসে। সেখান থেকে তাদের কাছে নিয়ে আসে খুচরা বিক্রেতারা। কবে এর একটি বড় অংশ প্রথমে আসে শাসনগাছা এলাকায় পরে সেখান থেকেই চক্রের মাধ্যমে সেগুলো স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী, স্থানীয় তরুণ-যুবক ও বিভিন্ন বয়সী মাদকসেবীদের কাছে বিক্রি করে।
স্থানীয়দের অনেকে বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ। নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক বাসিন্দা বলেন, এখন আর আমাদের কাছে এগুলো নতুন নয়। যেতে আসতে দেখি ছেলের বয়সীরাও মাদক সেবন করছে। কথা বললে কি না কি করে বসে। কারণ এদের বেশির ভাগই মাতাল থাকে। এই এলাকায় সন্তান মানুষ করা কঠিন ব্যাপার।
কুমিল্লার রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সোহেল মোল্লা বলেন, আমরা সম্প্রতি আটজনকে কারাগারে পাঠিয়েছি। এখানে অনেক সময় কলেজ ছাত্ররাও আড্ডা দেয়। তারপরেও আমরা কঠোর নজরদারি করি। এমন কোনও অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নিই।
দলে দলে ভাগ হয়ে ঘষছে হাত। মাথার ওপরে উড়ছে ধোঁয়া। কোনও দলে কিশোর আবার কোনও দলে মধ্যবয়সী পুরুষ। কোথাও আবার বৃদ্ধদেরও দেখা যায়। কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশন এবং আশপাশের এলাকায় মাদকসেবন ও বিক্রির এমন দৃশ্য যেন স্থানীয়দের চোখে সয়ে গেছে। পুলিশ ও প্রশাসনের কাছেও এটি প্রকাশ্য সত্য।
সম্প্রতি একাধিক দিনে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, কুমিল্লা স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের সামনের রেললাইনে, কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশন পুলিশ ফাঁড়ি বিপরীত পাশের প্ল্যাটফর্মে, উপসহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সামনে, ধর্মপুর রেলগেটের পার্শ্ববর্তী এলাকায়, শাসনগাছা রেলগেটের পার্শ্ববর্তী এলাকায় এবং অশোকতলা রেলগেট পার্শ্ববর্তী এলাকায় প্রতিদিন বসে মাদকসেবীদের আড্ডা। এসব আড্ডায় ঘুরে ঘুরে মাদক বিক্রি করে একটি চক্র। এসব মাদকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় গাঁজা ও ইয়াবা। অনেকে মাদক বাইরে থেকে এনে নিরাপদে সেবন করে এলাকা ছাড়ে।
স্থানীয় কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, মাদকবিক্রেতাদের কয়েকটি চক্র এই এলাকায় সক্রিয় রয়েছে। তাদের মধ্যে বহিরাগতদের পাশাপাশি স্থানীয় কয়েকজনও যুক্ত রয়েছেন। তবে মাদকবিক্রেতাদের কিছু অংশ স্থানীয় হলেও মাদকসেবীদের বেশির ভাগ অংশই বহিরাগত। অনেকেই মাদকসেবনের নিরাপদ স্থান মনে করে কুমিল্লা রেল স্টেশন এবং আশপাশের এলাকাগুলো বেছে নেয়। তবে এসব ঘটনার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিভিন্ন কিশোর গ্যাং জড়িত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদকসেবীদের কয়েকজন জানান, সীমান্ত থেকে বড় চোরাচালান শহরে প্রবেশ করে। অনেক সময় তা বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় আসে। সেখান থেকে তাদের কাছে নিয়ে আসে খুচরা বিক্রেতারা। কবে এর একটি বড় অংশ প্রথমে আসে শাসনগাছা এলাকায় পরে সেখান থেকেই চক্রের মাধ্যমে সেগুলো স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী, স্থানীয় তরুণ-যুবক ও বিভিন্ন বয়সী মাদকসেবীদের কাছে বিক্রি করে।
স্থানীয়দের অনেকে বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ। নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক বাসিন্দা বলেন, এখন আর আমাদের কাছে এগুলো নতুন নয়। যেতে আসতে দেখি ছেলের বয়সীরাও মাদক সেবন করছে। কথা বললে কি না কি করে বসে। কারণ এদের বেশির ভাগই মাতাল থাকে। এই এলাকায় সন্তান মানুষ করা কঠিন ব্যাপার।
কুমিল্লার রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সোহেল মোল্লা বলেন, আমরা সম্প্রতি আটজনকে কারাগারে পাঠিয়েছি। এখানে অনেক সময় কলেজ ছাত্ররাও আড্ডা দেয়। তারপরেও আমরা কঠোর নজরদারি করি। এমন কোনও অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নিই।