কুমিল্লার দেবীদ্বার পৌর এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও খাল সংস্কার কর্মসূচির উদ্বোধনী দিনে খাল ভরাট করে নির্মাণ করায় একতা ব্রিকসকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ২০টি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন।

গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় দেবীদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হাসাত খাঁন পৌর এলাকার উত্তর ভিংলাবাড়ি এলাকার খাল সংস্কারের উদ্বোধন করেন। খাল সংস্কারের উদ্বোধনের সময় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় দেবীদ্বার পৌর প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার মো. রায়হানুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

খালটি সংস্কার হলে ওই এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে কয়েক হাজার অধিবাসী স্বস্তি পাবেন বলে স্থানীয়রা জানান।

খাল ভরাট করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ও একতা ব্রিকস মাটি সংরক্ষণ করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পৌর প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার মো. রায়হানুল ইসলাম ইটভাটার মাটি বাজেয়াপ্ত এবং একতা ব্রিকসের মালিক রসুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান সরকারকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়াও খাল ভরাট করে অবৈধভাবে নির্মিত প্রায় ২০টি পাকা ও অধাপাকা স্থাপনা ভেঙে ফেলেন।

এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার ও পৌর প্রশাসক মো. রায়হানুল ইসলাম বলেন, পৌর এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল ও নালাগুলো উদ্ধার এবং সংস্কারের বিষয়টি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার এবং ব্যয়বহুল। তারপরও পৌরসভার অর্থায়নে এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া নতুন একটি ভ্যাকু দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

দেবীদ্বারের উল্লেখযোগ্য খাল ও নদী বিশেষ করে রসুলপুর ইউনিয়নের বুড়ি নদী, ফতেহাবাদ ইউনিয়নের মরজরা নদী, বরকামতা ইউনিয়নের খিরদ নদীসহ গুয়াদারা খাল, মরিচা খাল, মনোরাম খাল, রামপ্রাসাদ খালসহ শতাধিক খাল বিলুপ্ত প্রায়। এগুলো সংস্কারে কোন পদক্ষেপ সরকার বা স্থানীয় প্রশাসনের আছে কি না জানতে চাইলে দেবীদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খাঁন বলেন, আমরা শুধু পৌরসভার জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল ও নালা উদ্ধারেই সীমাবদ্ধ থাকব না। উপজেলা পর্যায়ে বন্যার পানি ও জলাবদ্ধতা নিরসনে এবং কৃষির উন্নয়নে সকল খাল ও নালা উদ্ধারে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছি। ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সড়ক ও জনপথ এবং ভূমি অফিসের মাধ্যমে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল উদ্ধার ও খালের পানি গতি বৃদ্ধিতে কাজ করছি।