মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধেই স্বজনপ্রীতির অভিযোগ : অশুদ্ধ বানানেও চ্যাম্পিয়ন!
লাকসাম প্রতিনিধি
কুমিল্লার লাকসামে ২৪'র জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদের স্মরণে অনুষ্ঠিত গ্রাফিতি প্রতিযোগিতায় অশুদ্ধ বানানেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান! এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
প্রতিযোগিতায় নির্ধারিত অপরাপর বিচারকদের তোয়াক্কা না করেই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাছির উদ্দীন এককভাবেই স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে এ ফলাফল ঘোষণা করেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। ফলাফল প্রকাশে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ গ্রাফিতি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দ।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা প্রশাসন ২৪'র জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদের স্মরণে গত ১৬ জুলাই সারাদেশের ন্যায় লাকসামেও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (কলেজ পর্যায়) গ্রাফিতি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। এতে নওয়াব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ, লাকসাম মডেল কলেজ, নরুল আমিন ডিগ্রি কলেজ এবং গণউদ্যোগ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।
প্রতিযোগিতায় ফলাফল মূল্যায়নের ক্ষেত্রে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট বিচারকমন্ডলীর একটি প্যানেল বা কমিটি গঠণ করা হয়।
অভিযোগ ওঠেছে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অপরাপর বিচারকদের কোনোভাবেই মূল্যায়ন না করে তিনি এককভাবেই ফলাফল ঘোষণা করেন। এতে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে প্রতিবাদ ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গ্রাফিতি অঙ্কনে থিম প্রকাশে উল্লেখিত বিভিন্ন বাক্যে একাধিক অশুদ্ধ বানান রয়েছে। এসব বানানে অসংখ্য ভুল থাকলেও একটি প্রতিষ্ঠান কিভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়! এটি বোধগম্য নয়।
তাঁদের অভিযোগ যথাযথ ভাবে ফলাফল মূল্যায়ন করা হয়নি। গ্রাফিতি প্রতিযোগিতার ফলাফল পূন:র্মূল্যায়ন করে প্রকৃত বিজয়ীদের চ্যাম্পিয়ন ঘোষণাসহ পুরস্কৃত করার দাবি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের।
বিচারকের দায়িত্বে থাকা একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ফলাফল মূল্যায়নের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অপরাপর বিচারকদের তোয়াক্কা না করেই তিনি এককভাবেই ফলাফল প্রকাশ করেন। যা নিয়ম বহির্ভূত এবং স্বজনপ্রীতির সামিল। তাঁরা ফলাফল পূন:র্মূল্যায়নের দাবি জানান।
আজ রোববার দুপুরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাছির উদ্দীন তাঁর বিরুদ্ধে আণীত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি মুঠোফোনে এ প্রতিনিধিকে বলেন, গ্রাফিতি প্রতিযোগিতায় থিম প্রকাশে অশুদ্ধ বানান মূখ্য নয়।
এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাউছার হামিদ বলেন, প্রতিযোগিতার দিন আমি ছুটিতে ছিলাম। এমন অভিযোগ আমিও পেয়েছি। তবে বিষয়টি আমি সুক্ষ্মভাবে দেখবো এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
কুমিল্লার লাকসামে ২৪'র জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদের স্মরণে অনুষ্ঠিত গ্রাফিতি প্রতিযোগিতায় অশুদ্ধ বানানেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান! এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
প্রতিযোগিতায় নির্ধারিত অপরাপর বিচারকদের তোয়াক্কা না করেই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাছির উদ্দীন এককভাবেই স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে এ ফলাফল ঘোষণা করেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। ফলাফল প্রকাশে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ গ্রাফিতি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দ।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা প্রশাসন ২৪'র জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদের স্মরণে গত ১৬ জুলাই সারাদেশের ন্যায় লাকসামেও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (কলেজ পর্যায়) গ্রাফিতি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। এতে নওয়াব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ, লাকসাম মডেল কলেজ, নরুল আমিন ডিগ্রি কলেজ এবং গণউদ্যোগ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।
প্রতিযোগিতায় ফলাফল মূল্যায়নের ক্ষেত্রে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট বিচারকমন্ডলীর একটি প্যানেল বা কমিটি গঠণ করা হয়।
অভিযোগ ওঠেছে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অপরাপর বিচারকদের কোনোভাবেই মূল্যায়ন না করে তিনি এককভাবেই ফলাফল ঘোষণা করেন। এতে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে প্রতিবাদ ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গ্রাফিতি অঙ্কনে থিম প্রকাশে উল্লেখিত বিভিন্ন বাক্যে একাধিক অশুদ্ধ বানান রয়েছে। এসব বানানে অসংখ্য ভুল থাকলেও একটি প্রতিষ্ঠান কিভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়! এটি বোধগম্য নয়।
তাঁদের অভিযোগ যথাযথ ভাবে ফলাফল মূল্যায়ন করা হয়নি। গ্রাফিতি প্রতিযোগিতার ফলাফল পূন:র্মূল্যায়ন করে প্রকৃত বিজয়ীদের চ্যাম্পিয়ন ঘোষণাসহ পুরস্কৃত করার দাবি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের।
বিচারকের দায়িত্বে থাকা একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ফলাফল মূল্যায়নের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অপরাপর বিচারকদের তোয়াক্কা না করেই তিনি এককভাবেই ফলাফল প্রকাশ করেন। যা নিয়ম বহির্ভূত এবং স্বজনপ্রীতির সামিল। তাঁরা ফলাফল পূন:র্মূল্যায়নের দাবি জানান।
আজ রোববার দুপুরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাছির উদ্দীন তাঁর বিরুদ্ধে আণীত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি মুঠোফোনে এ প্রতিনিধিকে বলেন, গ্রাফিতি প্রতিযোগিতায় থিম প্রকাশে অশুদ্ধ বানান মূখ্য নয়।
এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাউছার হামিদ বলেন, প্রতিযোগিতার দিন আমি ছুটিতে ছিলাম। এমন অভিযোগ আমিও পেয়েছি। তবে বিষয়টি আমি সুক্ষ্মভাবে দেখবো এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।