দেবীদ্বার প্রতিনিধি
কুমিল্লার দেবীদ্বারে এক নারীকে ঘুমন্ত অবস্থায় মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও খুঁচিয়ে হত্যা করেছে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দেবীদ্বার পৌর এলাকার সাইলচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ঝরনা বেগম(৪৮) সাইলচর গ্রামের ইলেক্ট্রিক মেকানিক আব্দুল করিমের স্ত্রী।
স্থানীয় সাইফুল ইসলাম সবুজ, আলম মনির, শাহআলমসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, নিহত ঝরনা বেগমের ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে সন্তান রয়েছে। দুই ছেলে শরিফ (৩০) ও আরিফ (২৮) সৌদী প্রবাসী, বড় ছেলে সবুজ (৩২) ট্রাক্টর চালক। ২ মেয়ে নিপা (৩৫) ও লুবনার (২৫) বিয়ে হয়ে গেছে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, নিহতের দেবর-ভাসুরদের সঙ্গে তার জমি সংক্রান্ত বিরোধ আছে। ঝরনা বেগমের সাথে পার্শ্ববর্তী বড়আলমপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের পুত্র ইয়াবা ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। প্রায়ই কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশে সাইলচর চা দোকানে প্রায়ই তাদের আড্ডা হতো। রাত ১১-১২ টায় বাড়ি ফিরতেন। ওই মহিলা তার স্বামীকে রাতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘরের উত্তর পাশের জানালা দিয়ে পালিয়ে যেতেন। মাঝে মাঝে ২-৩ দিন বেড়ানোর কথা বলে নিরুদ্দেশ থাকতেন।
ঝরনার স্বামী আব্দুল করিম জানান, তার স্ত্রীর সাথে পারিবারিক নানা বিষয়ে দূরত্ব ছিল দীর্ঘদিনের। দুইজন দুই বিছানায় ঘুমাতেন। প্রায়ই তার স্ত্রী তাকে অসুস্থতার কারণে ঘুমের ওষুধ খাওয়াতেন। খেতে না চাইলে জোর করে ঘুমের ওষুধ খাওয়াতেন। গত রাতে ৮টি ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়েছেন। খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে উঠে দেখেন স্ত্রী ঘুমন্ত অবস্থায় মরে আছে। তার মাথা থেতলানো এবং রক্তাক্ত।
বড় মেয়ে নিপা বলেন, আগে থেকেই সন্দেহ ছিল আমার মাকে মেরে ফেলা হবে।
ঘটনার পর থেকে বড় ছেলে সবুজ নিখোঁজ রয়েছে।
এ ব্যাপারে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দেবীদ্বার-ব্রাহ্মণপাড়া সার্কেল) মো. শাহীন বলেন, হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিয়ে নানামুখী কথা শোনা যাচ্ছে। তবে তার মাথায় ৩টি ধারালো অস্ত্রের আঘাত আছে। যেগুলো ইলেক্ট্রিক প্লাস বা স্ক্রু ড্রাইভারের আঘাত হতে পারে।
কুমিল্লার দেবীদ্বারে এক নারীকে ঘুমন্ত অবস্থায় মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও খুঁচিয়ে হত্যা করেছে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দেবীদ্বার পৌর এলাকার সাইলচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ঝরনা বেগম(৪৮) সাইলচর গ্রামের ইলেক্ট্রিক মেকানিক আব্দুল করিমের স্ত্রী।
স্থানীয় সাইফুল ইসলাম সবুজ, আলম মনির, শাহআলমসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, নিহত ঝরনা বেগমের ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে সন্তান রয়েছে। দুই ছেলে শরিফ (৩০) ও আরিফ (২৮) সৌদী প্রবাসী, বড় ছেলে সবুজ (৩২) ট্রাক্টর চালক। ২ মেয়ে নিপা (৩৫) ও লুবনার (২৫) বিয়ে হয়ে গেছে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, নিহতের দেবর-ভাসুরদের সঙ্গে তার জমি সংক্রান্ত বিরোধ আছে। ঝরনা বেগমের সাথে পার্শ্ববর্তী বড়আলমপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের পুত্র ইয়াবা ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। প্রায়ই কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশে সাইলচর চা দোকানে প্রায়ই তাদের আড্ডা হতো। রাত ১১-১২ টায় বাড়ি ফিরতেন। ওই মহিলা তার স্বামীকে রাতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘরের উত্তর পাশের জানালা দিয়ে পালিয়ে যেতেন। মাঝে মাঝে ২-৩ দিন বেড়ানোর কথা বলে নিরুদ্দেশ থাকতেন।
ঝরনার স্বামী আব্দুল করিম জানান, তার স্ত্রীর সাথে পারিবারিক নানা বিষয়ে দূরত্ব ছিল দীর্ঘদিনের। দুইজন দুই বিছানায় ঘুমাতেন। প্রায়ই তার স্ত্রী তাকে অসুস্থতার কারণে ঘুমের ওষুধ খাওয়াতেন। খেতে না চাইলে জোর করে ঘুমের ওষুধ খাওয়াতেন। গত রাতে ৮টি ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়েছেন। খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে উঠে দেখেন স্ত্রী ঘুমন্ত অবস্থায় মরে আছে। তার মাথা থেতলানো এবং রক্তাক্ত।
বড় মেয়ে নিপা বলেন, আগে থেকেই সন্দেহ ছিল আমার মাকে মেরে ফেলা হবে।
ঘটনার পর থেকে বড় ছেলে সবুজ নিখোঁজ রয়েছে।
এ ব্যাপারে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দেবীদ্বার-ব্রাহ্মণপাড়া সার্কেল) মো. শাহীন বলেন, হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিয়ে নানামুখী কথা শোনা যাচ্ছে। তবে তার মাথায় ৩টি ধারালো অস্ত্রের আঘাত আছে। যেগুলো ইলেক্ট্রিক প্লাস বা স্ক্রু ড্রাইভারের আঘাত হতে পারে।