আবদুল্লাহ আল মারুফ
অতিবৃষ্টি ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানিতে টইটম্বুর অবস্থা হয় গোমতী নদীর। আচমকা পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে যায় চরের কৃষি জমি ও ফসল। একই মৌসুমে কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে দুইবার নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে চরে উঠে যাওয়ায় কৃষির যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নেয়া কষ্ট সাধ্য বলছেন কৃষকরা। কৃষি বিভাগ বলছে, এই বর্ষায় নদীর প্লাবন ও জলাবদ্ধতায় কুমিল্লা জেলার ১৩ হাজার হেক্টর জমির ফলন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যা টাকার অঙ্কে কয়েক কোটি ছাড়িয়ে যাবে।
জানা গেছে, আন্তজার্তিক সীমান্ত প্রদক্ষিণ করা ভারত থেকে বয়ে আসা স্রোতস্বিনী নদী গোমতী। এ নদীর চরে সারা বছরই চাষ হয় নানান ধরনের শাক-সবজি। তাই চরের পলি পড়া উর্বর জমি কৃষকদের চাষাবাদের লোভে ফেলে। যেকারণে এসব উঁচু জমিতে পানি ওঠার প্রবণতা না থাকায় চাষ হয় করলা, লাউ, কুমড়া, বেগুন, মরিচ ও মূলাসহ নানান ফসল। তবে এবছর বর্ষা মৌসুমের শুরুতে টানা দুবার ভেসে গেছে গোমতী নদী। আর তার সঙ্গে ভেসে গেছে চরের কৃষকদের হাজার হাজার হেক্টর জমির স্বপ্নের ফসল। নদীর পানি কমে আসায় ভেসে উঠেছে গোমতীর দগদগে ক্ষত।
শনিবার গোমতীর চর ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষতি কমিয়ে আনতে অনেকেই অপরিপক্ষ ফলন তুলে ফেলতে হয়েছে। অনেকের জমিতে এখনও পড়ে আছে পঁচে যাওয়া ফসল। আবার অনেকের জমিতে রোপন করা মূলাসহ নানান ফসলের বিজ পানিতে ধুয়ে গেছে। জমি হয়ে গেছে পুরোপুরি সমান।
কয়েকশো শতক জমির মালিক কুমিল্লার সদর উপজেলার আমতলি এলাকার কৃষক মো. নান্টু মিয়া বলেন, গতবছরের বন্যায় আমাদের কোমর ভেঙে যায়। এবার যা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিলাম তাও আর পারলাম না। ঋণের কয়েক লাখ টাকা পানিতে ভেসে গেছে। গোটা কোমড়ার জমি, করলা আর কইডার জমিও শেষ। যেন হঠাৎ একটা ঝড় সব শেষ করে দিয়ে গেল।
একই গ্রামের কৃষক মো. হালিম বলেন, আমার জমির বিজ গুলিও নাই। জমিতে এখনও পানি। কি খাওয়াবো ছেলে মেয়েদের। ঋণ করে গাছ লাগাই। জমির ফসল বিক্রি করে আবার ঋণ দেই। মাঝে যা লাভ হয় তা দিয়ে সংসার চলে। কিন্তু এবার শেষ। ঋণ দিব কিভাবে? আর সংসার চলবে কিভাবে? সরকার যদি না চায় আমাদের দিকে কোন উপায় নাই।
এদিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিচালক আইয়ুব মাহমুদ বলেন, গোমতীর পানি বাড়ায় আমাদের কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। শুধু গোমতী পাড়ে নয়। চৌদ্দগ্রাম, মনোহরগঞ্জ, লাকসাম ও বুড়িচং উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফসলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে রোপা আমন, বীজতলা ও চরের সবজির ক্ষতি বেশি হয়েছে হয়েছে।
অতিবৃষ্টি ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানিতে টইটম্বুর অবস্থা হয় গোমতী নদীর। আচমকা পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে যায় চরের কৃষি জমি ও ফসল। একই মৌসুমে কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে দুইবার নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে চরে উঠে যাওয়ায় কৃষির যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নেয়া কষ্ট সাধ্য বলছেন কৃষকরা। কৃষি বিভাগ বলছে, এই বর্ষায় নদীর প্লাবন ও জলাবদ্ধতায় কুমিল্লা জেলার ১৩ হাজার হেক্টর জমির ফলন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যা টাকার অঙ্কে কয়েক কোটি ছাড়িয়ে যাবে।
জানা গেছে, আন্তজার্তিক সীমান্ত প্রদক্ষিণ করা ভারত থেকে বয়ে আসা স্রোতস্বিনী নদী গোমতী। এ নদীর চরে সারা বছরই চাষ হয় নানান ধরনের শাক-সবজি। তাই চরের পলি পড়া উর্বর জমি কৃষকদের চাষাবাদের লোভে ফেলে। যেকারণে এসব উঁচু জমিতে পানি ওঠার প্রবণতা না থাকায় চাষ হয় করলা, লাউ, কুমড়া, বেগুন, মরিচ ও মূলাসহ নানান ফসল। তবে এবছর বর্ষা মৌসুমের শুরুতে টানা দুবার ভেসে গেছে গোমতী নদী। আর তার সঙ্গে ভেসে গেছে চরের কৃষকদের হাজার হাজার হেক্টর জমির স্বপ্নের ফসল। নদীর পানি কমে আসায় ভেসে উঠেছে গোমতীর দগদগে ক্ষত।
শনিবার গোমতীর চর ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষতি কমিয়ে আনতে অনেকেই অপরিপক্ষ ফলন তুলে ফেলতে হয়েছে। অনেকের জমিতে এখনও পড়ে আছে পঁচে যাওয়া ফসল। আবার অনেকের জমিতে রোপন করা মূলাসহ নানান ফসলের বিজ পানিতে ধুয়ে গেছে। জমি হয়ে গেছে পুরোপুরি সমান।
কয়েকশো শতক জমির মালিক কুমিল্লার সদর উপজেলার আমতলি এলাকার কৃষক মো. নান্টু মিয়া বলেন, গতবছরের বন্যায় আমাদের কোমর ভেঙে যায়। এবার যা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিলাম তাও আর পারলাম না। ঋণের কয়েক লাখ টাকা পানিতে ভেসে গেছে। গোটা কোমড়ার জমি, করলা আর কইডার জমিও শেষ। যেন হঠাৎ একটা ঝড় সব শেষ করে দিয়ে গেল।
একই গ্রামের কৃষক মো. হালিম বলেন, আমার জমির বিজ গুলিও নাই। জমিতে এখনও পানি। কি খাওয়াবো ছেলে মেয়েদের। ঋণ করে গাছ লাগাই। জমির ফসল বিক্রি করে আবার ঋণ দেই। মাঝে যা লাভ হয় তা দিয়ে সংসার চলে। কিন্তু এবার শেষ। ঋণ দিব কিভাবে? আর সংসার চলবে কিভাবে? সরকার যদি না চায় আমাদের দিকে কোন উপায় নাই।
এদিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিচালক আইয়ুব মাহমুদ বলেন, গোমতীর পানি বাড়ায় আমাদের কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। শুধু গোমতী পাড়ে নয়। চৌদ্দগ্রাম, মনোহরগঞ্জ, লাকসাম ও বুড়িচং উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফসলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে রোপা আমন, বীজতলা ও চরের সবজির ক্ষতি বেশি হয়েছে হয়েছে।