কুমিল্লার ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন শালবন বিহারে এবারের কোরবানির ঈদের ছুটিতে পর্যটক কমেছে। ঈদের পরের তিনদিনের হিসেবে ৮ হাজার পর্যটক এসেছেন। এতে রাজস্বও কম হয়েছে। রোজার ঈদে দ্বিগুণের বেশি পর্যটক এসেছিলেন। এবার পশু কোরবানি, ভ্যাপসা গরম ও বৃষ্টিতে বৈরি আবহাওয়া, গ্রামের বাড়িতে বেশি সংখ্যক মানুষের ঈদ করার কারণে পর্যটক উপস্থিতি কম বলে মনে করছেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
এদিকে গতকাল বুধবার থেকে কোটবাড়ি এলাকার সব দর্শনীয় পর্যটন স্পট খুলেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ জুন থেকে ঈদের ছুটি শুরু হয়। আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত ওই ছুটি থাকবে। শালবন বিহার গত ৮ জুন থেকে খোলা হয়। ৮ জুন ২ হাজার ৫০০ পর্যটকের বিপরীতে টিকিট বিক্রি করে আয় হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা, ৯ জুন ২ হাজার ৯০০ পর্যটকের বিপরীতে আয় হয়েছে ৮৫ হাজার টাকা ও ১০ জুন ২ হাজার ৬০০ জন পর্যটকের বিপরীতে আয় হয়েছে ৭৬ হাজার ১৩০ টাকা।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ৪ লাখ ৩৭ হাজার ৬৬৯ জন পর্যটকের থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে ৮৯ লাখ ২০ হাজার ৩২০ টাকা। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৫ লাখ ২৮ হাজার ৭৬৫ জন দর্শনার্থী শালবন বিহার দেখতে আসেন। তাঁদের কাছ থেকে আয় হয়েছে ১ কোটি ৪ লাখ ১৩ হাজার ৩৪৯ টাকা। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫৮ জন দর্শনার্থী থেকে আয় হয়েছে ১ কোটি ৩৫ লাখ ৮২ হাজার ৮২১ টাকা। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের ৩১ মে পর্যন্ত আয় হয়েছে ১ কোটি ১২ লাখ টাকা। এবার গত অর্থবছরের থেকে রাজস্ব আয় কম হবে।
ময়নামতি জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান মো. শাহীন আলম বলেন, রোজার ঈদের চেয়ে এবার দর্শনার্থী কম এসেছেন। নানা কারণে দর্শনার্থী কমেছে।