কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো আবুল বাসার ভূঁঞাকে অবরুদ্ধ করা ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষক পরিষদ। আজ বুধবার বেলা ১১ টায় কলেজের ডিগ্রি শাখার প্রশাসনিক ভবনের সামনে ওই মানববন্ধন হয়। এতে কলেজের সব বিভাগের শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন।
তাঁরা অধ্যক্ষের ওপর অনভিপ্রেত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শিক্ষক পরিষদ অধ্যক্ষকে মসজিদে অবরুদ্ধ করে রাখার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা, বহিরাগতদের কলেজে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তও নেন।
মানববন্ধনে শিক্ষকেরা বলেন, অন্যায়ভাবে অধ্যক্ষকে হেনস্তা করা হচ্ছে। এর আগেও তাঁকে হেনস্তা করা হয়। আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, ভিক্টোরিয়া কলেজের ঐতিহ্য সমুন্নত রাখার জন্য শিক্ষক পরিষদ ঐক্যবদ্ধ। কারও উসকানিতে ও ষড়যন্ত্রে কলেজের ইমেজ নষ্ট হতে দেব না। অধ্যক্ষ সাদাসিদে মানুষ, নির্মোহ মানুষ। তিনি অনিয়ম করলে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ আছেন। তাঁরা ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু মসজিদে ঢুকে ঘন্টার পর ঘন্টা তাঁকে অবরুদ্ধ করা ধৃষ্টতার শামিল। যাঁরা শিক্ষককের সঙ্গে এই ঘৃণ্য কাজ করছে তাঁদের আইনের আওতায় আনতে হবে। অপরাধীরা যেই হোক তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। গুটি কয়েক সুবিধাবাদী গোষ্ঠী ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল ও শিক্ষকের মর্যাদাহানি করতে পারে না। আমরা শিক্ষক সমাজ এক, অভিন্ন ও ঐক্যবদ্ধ। ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ করলে আমরা কঠোর সিদ্ধান্ত নেব।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো আবদুল মজিদ, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক গাজী সোহরাব উদ্দিন সৌরভ প্রমুখ।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া দুইজন শিক্ষক প্রায় অভিন্নভাবে বলেন, ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতে সাবেক শিক্ষার্থীদেরও ব্যবহার করা হচ্ছে। এর আগেও তাঁরা একজন অধ্যক্ষকে 'মব' সৃষ্টি করে বিদায় করে। উপাধ্যক্ষকে কলেজে আসতে দেয়নি। আমরা ভিক্টোরিয়া কলেজের অসম্মান চাই না। দ্রুত ষড়যন্ত্রকারীদের গ্রেপ্তার করা হোক।
উল্লেখ গত সোমবার নয় দফা দাবি নিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো আবুল বাসার ভূঁঞাকে মসজিদে অবরুদ্ধ করে রাখেন গুটি কয়েক সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী। এর ছয় ঘন্টা পর পুলিশ তাঁকে মসজিদ থেকে উদ্ধার করে।