হোম > কুমিল্লা জেলা > আদর্শ সদর

ছুটির দিনে জমজমাট নগরের ঈদ বাজার

আবদুল্লাহ আল মারুফ

আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৫, ১১: ৩০

কুমিল্লা নগরের বিপণিবিতানে দিন দিন বাড়ছে ভিড়। ভিড়ের সাথে বিকিকিনিও বাড়ছে। তবে লক্ষণীয় বিষয়, ঈদ বাজারে পুরুষের তুলনায় বেড়েছে নারীদের উপস্থিতি।

গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে কুমিল্লা নগরের বিভিন্ন এলাকার শপিং মলগুলো ঘুরে দেখা গেছে, নগরের দোকানগুলোতে এখন রাতদিন চলে বিকিকিনি। রাতেও দোকানে ভিড় থাকে দেখার মতো। তবে এই ভিড়ে সবচেয়ে বেশি দেখা মিলে নারীদের। অনেকের সঙ্গে আসেন স্বামী বা ভাই। আবার অনেকে স্বজনদের নিয়ে আসেন।

দোকানগুলো ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি পাঁচ থেকে ছয়জন নারীর সঙ্গে আসেন একজন পুরুষ। অনেক দোকানে দীর্ঘক্ষণ পর দেখা মেলে একজন পুরুষের।

নগরের শাসনগাছা এলাকার ইস্টার্ন ইয়াকুব প্লাজা, বাদুরতলা এলাকার কিউ আর টাওয়ার, কান্দিরপাড় এলাকার রূপায়ণ দেলোয়ার টাওয়ার, কান্দিরপাড় এলাকার নিউ মার্কেট, এসবি প্লাজা, এস আর প্ল্যানেট, খন্দকার হক টাওয়ার, সাত্তার খান টাওয়ার, ময়নামতি শপিং কমপ্লেক্স, মনোহর পুর এলাকার সোনালী স্কয়ারসহ মনোহরপুর, রাজগঞ্জ, চকবাজার ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকার অন্তত ২০টি শপিং কমপ্লেক্স ও দোকান ঘুরে দেখা গেছে নারীদের উপচে পড়া ভিড়। তবে ইস্টার্ন ইয়াকুব প্লাজা, এস আর প্ল্যানেট ও ময়নামতি শপিং কমপ্লেক্সে তুলনামূলক ভিড় কম দেখা গেছে।

খন্দকার হক টাওয়ারের নিচ তলার মাঝের গলির এক ব্যবসায়ী না প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, দোকান খোলার পর থেকে ক্রেতাদের ভিড় থাকে। বেশির ভাগই নারী। সঙ্গে পুরুষরাও থাকেন। পুরুষ শিশুদের নিয়ে দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেন। নারীরা শপিং করেন। আবার অনেকে প্রতিবেশী বা স্বজনদের নিয়ে আসেন। তবে আমরা যত ক্রেতা পাই তার ৫ ভাগের এক ভাগ পুরুষ।

এই শপিং কমপ্লেক্সের ৩য় তলার প্রসাধনী ব্যবসায়ী নাফিস রহমান বলেন, আমরা যা ক্রেতা পাই, তার বেশির ভাগই নারী। পুরুষ হাতেগোনা কয়েকজন। কারণ আমাদের এখানে নারী ও শিশুদের পণ্যই বেশি।

এসময় তিনি বরেন, নারীরা দিন দিন নিজের ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিচ্ছে। পূর্বের তুলনায় নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা পাওয়ায় তাদের আগ্রহের জায়গাও বেড়েছে।

স্বামীর সঙ্গে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার নিমসার এলাকার রুফিয়া আক্তার। তার সঙ্গে দেখা রূপায়ণ দেলোয়ার টাওয়ারের উইমেন্স ওয়ার্ল্ড ব্র্যান্ড শপের সামনে। তিনি নিজের ঈদ শপিং নিজেই করেন জানিয়ে বলেন, আমাদের বিয়ের এবার ৫ বছর হলো। বিয়ের আগে বাবার সাথে ঈদের বাজার করতে যেতাম। বিয়ের পর স্বামী নিয়ে আসেন। আমার আত্মীয়স্বজনরা সবাই নিজের ঈদ বাজার নিজেই করেন।

সঙ্গে আসা স্বামী ইলিয়াস হোসেন বলেন, প্রতি বছর সব ঈদের ছুটি পাই না। যেই ঈদে ছুটি পাই সেই ঈদে স্ত্রী সন্তান নিয়ে আসি শপিং করতে। তাদের আনন্দ দিলে নিজেরও ভালো লাগে।

এস আর প্ল্যানেটের নিচ তলার থ্রি-পিসের দোকানের সামনে দেখা হয় তানজিনা আক্তারের সঙ্গে।
তিনি একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, আমরা তিন বোন। মা আর ফুফুদের শপিং করতে দেখে বড় হয়েছি। তাই নিজের শপিং নিজেই করি। বাবা প্রতিবার আসেন। কিন্তু এবার তিনি অসুস্থ হওয়ায় আসেননি। মা এসেছেন। নারী পুরুষ কোন বিষয় নয়। সেরকম পরিবেশ আছে বলেই নারীরা নির্বিঘ্নে শপিং করতে আসতে পারেন।

জুলাই-আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে বরুড়া উপজেলা ছাত্রদল কর্তৃক দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত

কুমিল্লায় পাহাড়িকা ট্রেন লাইনচ্যুত

ঘুমন্ত নারীকে খুনের অভিযোগে প্রেমিক ও স্বামী গ্রেপ্তার

৩২১ টি ছররা গুলি লাগা মেঘ এসএসসিতে পেয়েছে জিপিএ ৪ দশমিক ৭৮

সেকশন